Women's Day-Laughtersane: আগামীকাল নারী দিবস। আর শুধু যে মেয়েরাই মেয়েদের ভাল বোঝেন, একথা কিন্তু একেবারেই ভুল। কিছু কিছু পুরুষ মানুষও কিন্তু, নারীদের বেশ ভাল চেনেন। সমাজ মাধ্যমের পাতায় এমন বহু কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রয়েছেন, যারা বহুবছর ধরে নিজেদের মা কিংবা কাকিমার চরিত্রে অভিনয় করে এসেছেন। এবং দর্শক তাঁদের সেভাবেই বেশি পছন্দ করেছেন। সেরকমই একজন মানুষ লাফটারসেন। মানুষ তাঁকে এই নামেই চেনেন।
তাঁকে কখনও বেগুনি দি, কখনও আলু দি, আবার কখনও মিতা অ্যান্টি, সব চরিত্রেই দারুণ পছন্দ করেছেন মানুষ। বলা উচিত, নারী চরিত্রকে তিনি দারুণভাবে বোঝেন। প্রতিটা অধ্যায়েই মেয়েদের যেভাবে খুঁটিয়ে তিনি ফুটিয়ে তোলেন, সেটি অনবদ্য। আর, আজ যখন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল যে মানুষের তাঁকে কীভাবে বেশি পছন্দ? নারী সাজে দেখে না পুরুষ হিসেবে, তিনি সোজা সাপটা উত্তর দিলেন, প্রথম থেকেই আমি মহিলা ক্যারেকটার পোর্ট্রে করে এসেছি। মানুষ আমায় মহিলা হিসেবেই দারুণ পছন্দ করেছেন। কিন্তু, এখন আমরা যে পর্যায়ে চলে এসেছি, তাতে হয়তো বা মানুষ আমার চরিত্রের থেকে বেশি কন্টেন্টের দিকে মন দিয়েছে। এখন সেটা পাল্টেছে অনেকটা। আমিও সেরকম চেষ্টা করছি। মানুষের এখন আমাকে পছন্দ... ( হাসি )।
তাঁর লম্বা চুল, ডার্ক শেড লিপস্টিক সঙ্গে দারুণ সুন্দর সাজসজ্জা - বহু মেয়েরাই তাঁর স্টাইলিং এর ফ্যান। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে অনেকে এও জানতে চান এই কর্মকাণ্ড তিনি শিখলেন কোথা থেকে। কিন্তু, নিজের জীবনের নারীদের প্রতি দারুণ শ্রদ্ধাও রয়েছে তাঁর। তিনি বলছেন, "আমি আমার জীবনে যে মেয়েরা রয়েছেন তাঁদের এটাই বলতে চাই যে তোমরা সঠিক পথে আছো। তোমার যেটা ইচ্ছে হয় সেটাই করো। কোনও পুরুষ শক্তিকে নিজের পথের কাঁটা হতে দিও না। আসলে, আমাদের সৃষ্টিও তো নারীশক্তির থেকেই। আমার মনে রোজ যদি কোনও নারীকে সেলিব্রেট না করা যায়, তাহলে আগামী কালের কোনও প্রয়োজন নেই। আমার মায়ের ক্ষেত্রেও এক। তিনি এখনও কাজ করছেন। আমার একটাই কথা, সে যেন নিজের মতো করে জীবনটা বাঁচতে পারে।"
যদিও মেয়েদের স্পেশ্যাল ফিল করিয়ে তাঁদের সিম্প্যাথি দিতে তিনি নারাজ। মেয়েদের সবাই যেন নিজের হালে ছেড়ে দেয়, এমনটাই বলছেন লাফটারসেন। তাঁর কথায়, "মেয়েরা খুব স্ট্রং। ওদের নিজের মত ছেড়ে দিলেই হল। ওরা সব সর্ট করে দিতে পারবে। ওরা জানে ওদের কী করতে হবে। ভালমানুষ হলেও বলব, এটাও গিয়ে ওদের জানানোর দরকার নেই যে কীসে ভাল আর কীসে মন্দ। ওদের ফ্রি ছেড়ে দাও। ওরা বুঝে নেবে নিজেরটা।"
যদিও, এই সমাজে মেয়েদের স্বাধীনতা এবং স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠে। এই রাত মেয়েদের নয়, তাঁদের সবেতে মানা, সব কিছুতেই তাঁদের আটকে রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে, নারীশক্তির জয়গান ও কিন্তু এই সমাজেই গাওয়া হয়। লাফটারসেন বলছেন, "আমার ফিমেল এনার্জির বিষয়টা দারুণ পছন্দ। একটা ছোট্ট ঘটনা বলি, ছোটবেলায় অনেকেই বেন টেন দেখত। সবাই বেনকে দেখত, কিন্তু আমি বসে থাকতাম ওয়েনকে দেখার জন্য। ওর ট্রান্সফার হওয়ার বিষয়টা মুগ্ধ করত আমায়। নারীশক্তি আসলে সৃষ্টিকর্তা, তাঁদের নিয়ে বলার জো আমার নেই।"