ভেঙ্কটেশের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন এই পরিচালক। তিনি মানেই তো ঘরের চার দেওয়ালের সমস্যার সেলুলয়েডে আত্মপ্রকাশ। চিরন্তন এক বাস্তব, পথ চলতি তার আদৌ কোনও সমাধান জুটবে কিনা সেই বিষয় নিয়েই তাঁর পরের ছবি। সঙ্গে নিজের প্রথম লেখা চিত্রনাট্যকে বড়পর্দায় তুলে ধরার স্বপ্নপূরণ। 'জেনারেশন আমি' নিয়ে কথপোকথনে মৈনাক ভৌমিক।
'জেনারেশন আমি' কেন তৈরি করতে গেলেন?
হয় না! প্রথম লেখা চিত্রনাট্য কোন না কোনওদিন বানাবো, তারপর সেটা হয়ে ওঠেনা। কিন্তু মনের অগোচরে কোথাও রয়ে যায়, বানাতে পারলে ভাল হত। ছোটবেলার লেখা গল্প, সেটাকে দর্শকের কাছে নিয়ে যেতে পারাটাই একটা বড় প্রাপ্তি।
এতদিন পরে ছবিটা তৈরি করতে গিয়ে কোথাও বদল ঘটেছে?
ছবিটা লিখেছিলাম ২০ বছর আগে, তখন আমার ১৫ বছর বয়স। কাস্টিং আর তখন কী ভাবব? টেকনোলজির দিকটা বাদ দিলে খুব একটা বদলাতে হয়নি। তখনকার হটমেল হয়ত এখন জিমেল করতে হয়েছে বা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ঢোকাতে হয়েছে। কিন্তু বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কের জায়গাগুলো বদলায়নি। এগুলো কালজয়ী, আমার সময়েও যা ছিল, বর্তমানেও তাই থাকবে। প্রত্যেকটা ১৬ বছর, সেই সময়ের 'জেনারেশন আমি'।
'জেনারেশন আমি' ছবির দৃশ্যে সৌরসেনী ও ঋতব্রত
ঋতব্রত আর শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়কে নেওয়ার বিশেষ কারণ...
প্রথমত, দুজনেই ভাল অভিনেতা। শান্তিদা তো সিনিয়র মানুষ, দারুন অভিনেতা। আর দ্বিতীয়ত, এক বাবা-ছেলে যেখানে গল্পের প্রায়োরিটি, সেখানে ঋতব্রতর বাবাকে যদি পাই, যিনি বাস্তবে ওর বাবা উপরন্তু অভিনেতাও, একটা বাড়তি সুবিধে তো থাকেই।
আর সৌরসেনী? এই চরিত্রটায় মৈনাক ভৌমিক নিজের ছাপ রেখেছেন।
এই ধরনের চরিত্র আমরা ছবিতে দেখতে পাই না। এটা অস্বাভাবিক। এই ধরনের ছেলেমেয়েরা তো আমাদের চারপাশে রয়েছে, ১৯-২০ বছর বয়সটা, যখন মনে হয় সব কিছুতে বিদ্রোহ ঘোষনা করি। ছবিতে তুলে ধরা হয় না।
ভেঙ্কটেশের ব্যানারের সঙ্গে প্রথম কাজ, পরে আর কী কী আসছে?
আর একটা ছবি লিখছি, শুরু হবে। আর কোনও প্রযোজক বিশ্বাস করেননি বলে যে ছবিটা আমি করতে পারিনি, এসভিএফই সেই ঝুঁকিটা নিল। কাস্টিং তো সেই অর্থে কিছু নেই। তাই দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে।
ছবির জগতে কি আলাদা বেঞ্চমার্ক তৈরি করেছেন মৈনাক ভৌমিক?
বেঞ্চমার্ক ঠিক নয়! আমার মনে হয় যে গল্পগুলো বলা হয় না, সেই কাহিনিগুলো আমাকে টানে। এরকম অনেক গল্প দর্শক পছন্দ করেছেন বলে হয়তো বাকিরা এখন ছবিগুলো আমায় করতে দিচ্ছেন। এই গল্পগুলো বলা দরকার। ফেলুদা, ব্যোমকেশের পাশাপাশি সোনাদা থাকাটাও জরুরি।