আতসবাজি নিষেধাজ্ঞা সমর্থনে নিজের মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর কর্ণাটকের আইপিএস অফিসার ডি রূপাকে ট্রোলড হতে হল। ১৪ নভেম্বর দীপাবলির দিন ফেসবুক পোস্টে পুলিশ অফিসার রূপা লেখেন যে দিওয়ালি উপলক্ষে বাজি ফাটানো কোনও হিন্দু রীতি নয় এবং মহাকাব্য ও পুরাণেও আতসবাজি ফাটানোর কোনও উল্লেখ নেই।
করোনা আবহে স্বাস্থ্যের উপর বাজির কুপ্রভাব এবং বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেঙ্গালুরুতে নিষেদ্ধাজ্ঞা ছিল বাজি পোড়ানোয়। সেই বিষয়টি নিয়ে আইপিএস অফিসার লেখেন, "বৈদিক যুগ কিংবা পরবর্তীকালে হিন্দুদের মধ্যে আতসবাজি পোড়ানোর কোনও উল্লেখ ছিল না। আমাদের মহাকাব্যতেও কোথাও উল্লেখ নেই। বাজি ইউরোপীয়ানরাই নিয়ে আসে এদেশে। এটা হিন্দু ধর্মের রীতি বা সংস্কৃতি নয়।"
এদিকে টুইটার হ্যান্ডেল ‘ট্রু ইন্ডোলজি’ দাবি করেছে যে ভারতের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলিতে আতসবাজির উল্লেখ করা হয়েছে। রূপা এই দাবিটিকে খণ্ডন করে এবং বলে প্রমাণ দিতে। তবে কয়েক ঘন্টা পরে এই টুইটার হ্যান্ডেলটিকে সাসপেন্ড করা হয়।
‘ট্রু ইন্ডোলজি’কে এভাবে সাসপেন্ড করায় প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত-সহ বেশ কয়েকজন টুইটার ব্যবহারকারী। আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অভিনেত্রী বলেন, "এতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে যে যদি তিনি সত্যের সঙ্গে যুক্তিগুলি জিততে না পেরে তবে তিনি @TinExile কে সরিয়ে দিয়েছিলেন"।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন