/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/06/amir-cover.jpg)
'সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়...'। ১৯৮৮ থেকে ২০২০, সময়টা নেহাত কম তো নয়, ৩২ বছর! 'যো জিতা ওহি সিকন্দর' থেকে 'থাগস অফ হিন্দোস্তান', রাস্তাটা কত লম্বা। কত বাঁক এলো, খানাখন্দ, গর্ত এলো, আবার দেখতে দেখতে পেরিয়েও গেল। 'পেহলা নশা'র আমির খান আজ 'বুড়ো' হলেন।
আটের দশকের শেষের দিকে বলিউডে 'চকোলেট বয়' ইমেজ নিয়ে মাতিয়ে দিয়েছিলেন আপামর দেশবাসীকে। 'কয়ামত সে কয়ামত টক' ছবির সেই অবিস্মরণীয় গান 'গজব কা হ্যায় দিন...'এর প্রতি ছত্রে আমাদের আগের কিংবা পরের প্রজন্মের কত কত 'রাজবীর সিং' ধরে রেখেছিলেন তাঁদের আজীবন যৌবন, বেঁচে থাকার সব রসদ।
আরও পড়ুন,বাবাদেরই বলা কথা, রুপোলি পর্দায় যা বলে দিয়েছিল ইরফান
View this post on InstagramHappy Father's Day!❤???? Thanks for being you. . . . #fathersday #love
A post shared by Ira Khan (@khan.ira) on
১৯৯২ সালে মুক্তি পাওয়া 'কয়ামত সে কয়ামত তক' রাতারাতি সাড়া ফেলে দেয় দর্শক মহলে। আমিরের চালচলন, কথা বলা, নিজেদের শরীরে ফুটিয়ে নিয়ে ক্ষণিকের স্বপ্নে নিজেকে হিরো ভেবে নেন কত শত তরুণ। তাঁদের কেউ আজ নাম করেছেন, এসি গাড়ি, বিশাল বাড়ি...কারোর আবার কিচ্ছু হয়ে ওঠা হয়নি। তাঁরা তাঁদের হয়ে ওঠাটুকু ধরে রাখেন 'চাহে তুম কুছ না কাহো ম্যায়নে সুন লিয়া...'তেই।
তাই ২০২০ সালের ফাদার্স ডে-তে আমির কন্যা ইরা যখন বাবার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে, আর সে ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেখানে স্টারডম থাকে না, গ্ল্যামার থাকে না, একটা সময়ের বয়ে যাওয়া থাকে। চুলে পাক ধরা, মুখে ভাঁজ পড়া আমিরের মধ্যে আসলে ধরা থাকে তিন দশকের এক ইতিহাস। এক প্রজন্মের হতাশার, ঘুরে দাঁড়ানোর, বিক্ষোভে ফেটে পড়ার, আবার প্রথম প্রেমের সব আবেগকে আড়াল করার এক শাশ্বত ইতিহাস। হ্যাপি ফাদার্স ডে আমির!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন