/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/11/isha.jpg)
ইশার বক্তব্য ঠিক কী?
একটু সরে বসুন তো? চারপাশে চলতে গেলে এটুকু কথা সকলকেই বলতে হয়। প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে অথবা রাগ করে, অনেকেই আবার কাউকে পাশ থেকে উঠিয়ে দিতে একথা বলেই থাকেন। কিন্তু ইশা সাহা?
টলিপাড়ার ক্রাশ তিনি। অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিদিন একটু একটু করে প্রমাণ করছেন। তাঁর নতুন ছবি 'একটু সরে বসুন'...। দীর্ঘদিন পর পরিচালনায় ফিরছেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। একদম ভিন্ন ধাঁচের ছবি নিয়েই এবার পরিচালক আসছেন। শুধু তাই নয়, কমেডি ছবির এক মাইলস্টোন সৃষ্টি করতে চলেছে এই ছবি। মাল্টি স্টারার এই ছবিতে ইশা রয়েছেন বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকায়।
সেই উপলক্ষেই তাঁকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল বাস্তবের জীবনে কাউকে কোনোদিন একটু সরে বসুন বলেছেন নাকি না? প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেললেন ইশা। সোজা বললেন, "এটা তো সকলকেই বলতে হয়। আমাকেও হত। যখন আমি অভিনয়ের দুনিয়ার আসিনি। আমি কলেজ যাতায়াত করতাম ট্রেনে। ব্যারাকপুর লোকাল ধরে আসা যাওয়া লেগেই থাকত। তখন অনেককে বলেছি। এখন সেটা আর হয় না।" অভিনেত্রী হওয়ার পর তাঁর জীবনের গতি অনেকটাই বদলেছে।
ছবিতে তাঁর এবং ঋত্বিকের রমকম দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়। অভিনেত্রী এও জানিয়েছিলেন, এই ছবিতে একদম সহজ সরল একটি ভূমিকায় তাঁকে দেখা যাবে। যে পাড়ার এক দাদা গুড্ডু অর্থাৎ ঋত্বিকের প্রেমে পড়েছে। এই প্রাসঙ্গিকতাকেও ধরে রেখে তাঁকে যেই জিজ্ঞেস করা হয় যে বাস্তবে কোনও পাড়ার দাদার প্রেমে পড়েছিলেন কিনা? উত্তরে আক্ষেপ, আফসোস তাঁর কথায়...
অভিনেত্রী বলেন, "আমার পাড়ায় কোনও দাদা ছিলই না, তারপর তো প্রেমে পড়ব। সেসব অনেক দূরের কথা। পাড়ায় দাদা না থাকার জন্য আমার প্রেমে পড়া হয়নি।" ইশা এর আগেও অনেক তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন। এমনকি কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় তার বাবার চরিত্রে এর আগে অভিনয় করলেও পরিচালক হিসেবে এই প্রথম তাঁকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
একসঙ্গে এতগুলো মানুষ, এর তারকা.. কোথাও কি চাপ থাকে নাকি? একসঙ্গে অনেক তারকার সঙ্গে কাজ করতে গেলে যে সুবিধা হয় সেটাই জানিয়ে দিলেন তিনি।