/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/08/sanjay1-2025-10-08-13-03-14.jpg)
কী কী বললেন ইসমাইল...
সঞ্জয় লীলা বনশালি হলেন সেই সীমিত সংখ্যক চলচ্চিত্র নির্মাতাদের একজন, যারা নিজের ছবির জন্য সঙ্গীতও রচনা করেন। ২০১৮ সালে তার পিরিয়ড ড্রামা 'পদ্মাবত'-এর সঙ্গীতের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন। তবে যদি বনশালির সঙ্গে কারওর যুগলবন্দি নজর কাড়ে, তিনি সুরকার ইসমাইল দরবার।
বনশালির দুটি বিখ্যাত সিনেমা- হাম দিল দে চুকে সনম (১৯৯৯) এবং দেবদাস (২০০২)- এর সঙ্গীত রচনা করেছিলেন দরবার। সনম ছিল বনশালির প্রথম বড় বাণিজ্যিক সাফল্য, আর দেবদাস তাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। তবে এর পর তারা আর কখনও একসাথে কাজ করেননি। বনশালির ২০০৫ সালে ব্ল্যাক-এ গান ছিল না, সাওয়ারিয়া (২০০৭)-তে সুরকার হিসেবে মন্টি শর্মাকে বেছে নেওয়া হয় এবং পরে গুজারিশ (২০১০)-এর সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব বনশালি নিজেই নেন।
দরবার সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভিকি লালওয়ানিকে বলেন, বনশালির সঙ্গে তার তিক্ততার সূত্রপাত হয় হীরামান্ডি নির্মাণের প্রাথমিক বছরগুলোতে। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে হীরামান্ডি-তে দরবারকে সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সনম-এর সাফল্যের পর। তবে একটি সংবাদ প্রতিবেদনে তার সঙ্গীতকে ছবির “মেরুদণ্ড” হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যা বনশালিকে রোষে ভরিয়ে দেয়। দরবার জানান, বনশালি তাকে এমন অবস্থায় ফেলতে চাইছিলেন, যেখানে নিজে থেকেই ছবিটি ছেড়ে চলে যেতে হতো। তাই তিনি আগে থেকেই চলে এসেছিলেন।
Rajvir Jawanda Death: সিমলা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা, ৩৫ বছর বয়সে অকালপ্রয়াণ শিল্পীর
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইসমাইল দরবার জানান, “আজ যদি সঞ্জয় এসে বলে, ‘দয়া করে আমার ছবির সঙ্গীত তৈরি করো, আমি তোমাকে ১০০ কোটি টাকা দেব,’ আমি বলব—‘অবিলম্বে এখান থেকে চলে যাও।” দরবার ব্যাখ্যা করেন, তাদের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরেছিল হীরামান্ডি নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়েই। সেই সময় একটি সংবাদ প্রতিবেদনে তার সঙ্গীতকে ছবির “মেরুদণ্ড” বলে উল্লেখ করা হয়, যা নিয়ে বানসালি ক্ষুব্ধ হন।
“আমি বলেছিলাম, যদি আমি কিছু বলি, আমি সরাসরি বলব, লুকোচুরি করব না। কিন্তু কে সেই সংবাদটি প্রকাশ করেছিল, তা আমি আজও জানি না। খবরটি প্রকাশের পর সঞ্জয় আমাকে অফিসে ডেকে জিজ্ঞেস করল, ‘ইসমাইল, তুমি এটা কীভাবে বলতে পারো?’ পরে সে বলল, ‘ঠিক আছে, এটা ছেড়ে দাও।’ তখনই বুঝে গিয়েছিলাম—‘ছেড়ে দাও’ মানে, একদিন সে আমাকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলবে, যেখানে আমাকেই প্রকল্পটা ছেড়ে যেতে হবে। তাই সেটা ঘটার আগেই আমি নিজেই হীরামান্ডি থেকে সরে দাঁড়াই,” স্মৃতিচারণা করেন দরবার।
দুই শিল্পীর দ্বন্দ্বের কারণে পরবর্তীতে বনশালি বাজিরাও মাস্তানি এবং অন্যান্য প্রোজেক্টে, দরবারকে না নিয়ে নিজেই সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব নেন। তবে দেবদাস এবং সনম-এর সঙ্গীত আজও স্মরণীয়, যা দরবারের অবদানকে চিরস্থায়ী করেছে।
দরবার জানান, বনশালি কখনও তার জনসংযোগ কর্মকর্তার মাধ্যমে দরবারের সাক্ষাৎকারের ব্যবস্থা করতে চাননি। এই পার্থক্য সত্ত্বেও, দরবার মনে করেন তাদের যৌথ কাজ- বিশেষত সনম এবং দেবদাস- বলিউডে একটি স্বতন্ত্র চিহ্ন রেখে গেছে।