বিএমসির বিরুদ্ধে করা ‘বেআইনি বাড়ি ভাঙার’ মামলায় আজ কঙ্গনা রানাওয়াতের পক্ষে রায় দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। তারপরই টুইটে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী।
আদালতের রায়কে 'গণতন্ত্রের জয়' বলে মনে করছেন কঙ্গনা। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'যখন কোনও ব্যক্তি একা, সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং জয় পায় সেটা শুধু কারুর একার জয় নয়, সেটি গণতন্ত্রের জয়। সকলকে ধন্যবাদ আমাকে সাহস জোগানোর জন্য এবং তাঁদেরকেও ধন্যবাদ যাঁরা আমার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে হাসির খোরাক তৈরি করেছে। তোমরা ভিলেনের ভূমিকা নিয়েছো বলেই আমি হিরো হতে পেরেছি।'
শ্যুটিংয়ের সেটেই অভিনেত্রী ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, 'আমি ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বম্বে হাইকোর্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।' উল্লেখ্য, 'বেআইনি বাড়ি ভাঙার' মামলায় এদিন মম্বে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, পালি হিলসের বাংলোর প্রায় ৪০% খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর ভেঙে দেয় বিএমসি। পুরোপুরিভাবে ‘আইনি কুৎসা’ এবং কঙ্গনার বিতর্কিত টুইট দ্বারা প্রভাবিত হয়েই এই কাজ করেছে বিএমএস। এজন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বৃহন্মুম্বই পুরসভাকে। বিচারপতি এস জে কাথাওয়ালা এবং বিচারপতি রিয়াজ চাগলার ডিভিশন বেঞ্চ কঙ্গনা রানাওয়াতের সম্পত্তি ক্ষতিপূরণের মূল্য নির্ধারণের জন্য ভ্যালুয়ার নিয়োগ করেছেন। কঙ্গনা তাঁর বাংলো ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিএমসি-র কাছে থেকে ২ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন। ২০২১-এর মার্চ মাসের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী অভিনেত্রীকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।
পাশাপাশি, কঙ্গনা রানাওয়াতকেও তাঁর কথা এবং কাজের ব্যাপারে সংযম রাখার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএমসি-র অভিযোগ ছিল, কঙ্গনার বাংলোর একটি অংশ বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়। পাশাপাশি এ-ও দাবি করা হয় যে, কঙ্গনা রান্নাঘর তৈরির জন্য নির্ধারিত জায়গায় শৌচাগার এবং শৌচাগারের জন্য নির্ধারিত জায়গায় অফিস তৈরি করেন। সেই সব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে হাইকোর্ট।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন