মাথায় টুপি, ক্যামেরায় এক চোখ রেখে শট নেওয়া আর পরেই মুচকি হেসে দেওয়া, না আর সেরকম ভাবে অনেকেই বানাতে পারেন না ছবি। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে যশ চোপড়া ( YashChopra ) নামটাই ছিল প্রেম এবং প্রতিক্রিয়ার জন্য যথেষ্ট। শেষ ছবি জব তক হ্যায় জানের শুটিংও দিব্যি সামলাচ্ছিলেন তবে শরীর আর সাথ দিল না, মাঝপথেই তারাদের দেশে পাড়ি দিলেন যশ সাহেব।
Advertisment
মাঝখানে নয় বছর অতিক্রান্ত। বদল এসেছে অনেক। তবে মাঝে মধ্যেই সেইদিন গুলো আজও মনে করেন তার প্রিয় শাহরুখ ( Shahrukh Khan )। সম্পর্কের বন্ধন ছিল বেশ গাঢ়। কিং খান বলেন, সিনেমার প্রয়োজনীয় এক দুই মিনিটের শট এবং টাইটেল ট্র্যাক নিজে হাত শুট করতে পারেননি তিনি। বাকি ছিল তার চলে যাওয়ার পরেও। সুইজারল্যান্ডে শুট করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ইউনিটের কারওর সেরকম মানসিকতাই ছিল না যে তাকে ব্যতীত এই কাজ করা হবে, বলা উচিত সেই দক্ষতা ছিল না কারওর।
পরবর্তীতে এইগানের দায়ভার পরে জাভেদ আলির ওপর এবং তার পরেই শুটিং চলাকালীন যশ চোপড়ার উপস্থিতি নিয়েই গানের ভিডিও নির্মাণ করা হয়। সম্পূর্ণ সিনেমা জুড়েই প্রেম এবং দায়বদ্ধতার এক নিদারুণ চিত্র ফুটিয়েছিলেন পরিচালক। এমন এখন আর দেখবার নয়।
প্রসঙ্গত, সিনেমায় ব্যবহৃত সেই কবিতাটিও নিজেই লিখেছিলেন যশ সাহেব। লাদাখের প্রান্তরে বাইক এবং কিং খানের সেই অসাধারণ দৃশ্য - ব্যাকগ্রাউন্ডে মর্মস্পর্শী কবিতা আজও ভোলার নয়। এডিট করেছিলেন খোদ, মিউজিক নিয়েও যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন তিনি। শাহরুখের বক্তব্য অনুযায়ী, এই সিনেমার পেছনে যশ চোপড়া ছাড়া আর সেভাবে কারওর অবদান নেই। ক্যাটরিনা বলেছিলেন কোনওদিন তার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হবে ভাবীই নি, তবে এটিই তার শেষ সিনেমা হবে এটাও একেবারে আশাতীত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন