Jacqueline Fernandez: গত ৫ই ডিসেম্বর মুম্বাই বিমানবন্দরে আটকানো হয় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজকে। এরপর দিল্লি এনে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের তোরজোড়ের মধ্যেই ৮-ই ডিসেম্বর তাঁকে ইডি দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সুকেশ চন্দ্রশেখর সম্পর্কিত ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার তদন্তে নতুন করেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিনেত্রীকে।
রবিবার দুবাই উড়ে যাওয়ার পথে আটকানো হয় অভিনেত্রীকে। এদিন সম্পূর্ণ নতুন প্রশ্নের জালে ফেলা হয়েছে অভিনেত্রীকে। শুধু তাই নয়, ইডি কর্তরা জানিয়েছেন জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রেই তার বয়ান রেকর্ড পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই অনুযায়ীই পরবর্তীতে তদন্ত এগোনো হবে। এর আগেও অক্টোবর মাসে বহুবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সেই প্রেক্ষিতেই সুকেশের সঙ্গে বহুদিন পর মুলাকাত হয় তার।
এজেন্সি সূত্রে খবর, চন্দ্রশেখর সুকেশের অপরাধমূলক আয়ের অন্যতম একজন সুবিধাভোগী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। পূর্বে জ্যাকলিনের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন সংস্থার সামনে অপরাধের অভিযোগে জ্যাকলিন সাক্ষ্য পর্যন্ত দিয়েছেন। ভবিষ্যতে তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে চন্দ্রশেখর সুকেশ এবং তার স্ত্রী লীনা মারিয়া পলের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন জ্যাকি।
উল্লেখ্য, এমনও শোনা গিয়েছিল জ্যাকলিনকে কম করে ৫০ লক্ষ টাকার উপহার দিয়েছেন সুকেশ। যার মধ্যে রয়েছে বহুমূল্য ঘোড়া, চিনা মাটির বাসন এবং গয়না। মাসখানেক আগে জ্যাকলিনের নাম এই কাণ্ডে জড়ালেও সেইভাবে উত্তেজনা ছড়ায়নি। তবে সুকেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই বেজায় ফেঁসেছেন অভিনেত্রী। প্রসঙ্গেই তাকে বহুবার ইডির তরফ থেকে জেরা করা হয়। এজেন্সির তরফ থেকে যে চার্জশিট আগের সপ্তাহে জমা দেওয়া হয়, তাতে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধেও যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সুকেশের সঙ্গেই সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী, তাই ২০০ কোটির প্রতারণায় জ্যাকলিনও সমান অভিযুক্ত বলেই দাবি করেছেন সুকেশের আইনজীবী।
চন্দ্রশেখর নিজেই এই সমস্ত ঘটনার মূল অভিযুক্ত- এমনটাই জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে। অজস্র এফআইআর রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত এমনও জানা গিয়েছে রোহিণী জেলে বন্দি থাকাকালীন মোবাইল স্পুফিংয়ের দ্বারাও একটি অবৈধ র্যাকেট চালাতেন তিনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককেই গ্রেফতার করেছে ইডি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন