#MeToo আন্দোলনকে নিজের সর্মথন জানালেন অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। তিনি বলেন, লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে আলোচনা অনেকদিনের, তবে শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নয়, সমগ্র সমাজ জুড়েই। তিনি এও মনে করেন যে যৌন শিকারিরা সবর্ত্র উপস্থিত রয়েছে।
এ দিন একটি ইভেন্ট চলাকালীন সাংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় #MeToo নিয়ে সরব হন জ্যাকলিন। এই আন্দোলন ইতমধ্যে বলিউডে আলোড়ন তৈরি করেছে, সে কথা উল্লেখ করে অভিনেত্রী বলেন, ''মনে রাখতে হবে, লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিনের এবং এই বিষয়টাকে শুধুমাত্র ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সীমাবন্ধ রাখলে চলবেনা। লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে কথপোকথন সমগ্র সমাজেই প্রযোজ্য। দুর্ভাগ্যবশত, যৌন শিকারিরা আমাদের চারপাশে সারাক্ষণ ঘুরে বেরাচ্ছে''।
আরও পড়ুন- #MeToo: অনু মালিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আলিশা চিনয়
ভারতে #MeToo নিয়ে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কনিকা কাপুর বলেন, ''আমি ভীষণ বিস্মিত। যাঁরা যৌন হেনস্থা বা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, আমি তাঁদের জন্য দুঃখিত ''। তনুশ্রী দত্ত নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনার পর ভারতে এই আন্দোলন পাহাড় প্রমাণ আলোড়ন তৈরি করেছে।
এরপর #MeToo-তে নাম জড়িয়েছে একাধিক রাজনীতিক, মিডিয়া ও বিনোদন জগতের অনেক রাঘব বোয়ালদের নাম। সাজিদ খান, রজত কাপুর, কৈলাশ খের, আলোক নাথ, বিকাশ বহেল, এম জে আকবর, অর্নিবাণ ব্লাহ, আশিস পাটেল, চিত্রশিল্পী যতীন দাস, লেখক বরুন গ্রোভার, কাস্টিং ডিরেক্টর ভিকি সিডানা, মুকেশ ছাবড়া ও আরও অনেকে।
আরও পড়ুন- সত্যি কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে CID ?
জ্যাকলিনের কথায়, কারও সঙ্গেই আসভ্যতা করা উচিৎ নয়, সে একজন মেয়ে হোক বা ছেলে অথবা শিশু। তিনি এরপর বলেন, ''আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে সেটা আমি অনুভব করতে পারি। প্রত্যেকটা ছেলে এবং মেয়ে, যাঁরা তাদের কাহিনি নিয়ে সামনে আসছেন তাঁদের স্যালুট। এই #MeToo আন্দোলন আমাদের দেশ এমনকি আমাদের পৃথিবীর জন্য ভাল। আশা করছি, আমরা এই দেশ ও বিশ্বকে বাসযোগ্য করে তুলতে পারব''।
Read full story in English