যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে তুমুল আলোচনা। ছেলেমেয়েদের পড়াতে পাঠিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করছেন অভিভাবকরা। এবার, এই কাণ্ডেই একহাত নিলেন রুপঞ্জনা মিত্র।
Advertisment
ফেসবুক লাইভের মধ্যে দিয়েই নিজের প্রতিবাদ এবং প্রশ্ন উভয়ের প্রকাশ ঘটালেন তিনি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়, তাতে সিসিটিভি নেই কেন? প্রাক্তনীরা থাকবেন কেন? জোরালো আওয়াজ তুললেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন অনেক আছে, যারা এভাবেই মানুষকে বুলি করেন বলেও দাবি করেছেন রুপাঞ্জনা। এবং, তাঁরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রছাত্রী!
অভিনেত্রী বলেন, "আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকে আছেন যারা বুলি, র্যাগিং করেন। তাদের মধ্যেও এধরনের স্বভাব রয়েছে। কেউ হয়তো হেনস্থা হয়েছে। আবার কেউ করেছেন এই কাজ। তাদের চিকিৎসা হয়নি। গোটা যাদবপুরে কী হয়, কীসের ঠেক বসে না বসে সকলেই জানেন। কারওর অজানা নয়। একটা ক্যাম্পাসের ভিতরে এসব চলবে কেন? আর তাঁর প্রতিবাদ হবে না কেন? যাদবপুরে, অনেক পড়ুয়া ব্রিলিয়ান্ট। কিন্তু ভয় কেন দেখাবে?"
সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকার দরুন, সত্য যাচাই করা খুব কঠিন। শুধু তাই নয়, এর পেছনেও রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেছেন রুপাঞ্জনা। সোজা বললেন, "ক্যাম্পাসে সিসিটিভি থাকবে না কেন? ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে মানে? এগুলো তো দুষ্কৃতীদের কাজ। এরকম মনোভাব ছাত্রদের! সিসিটিভি কী কাজে ব্যবহার করা হয় সবাই জানে। তাহলে সেটা একটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে থাকবে না কেন? অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়তে পাঠাচ্ছেন আর এটুকু থাকবে না? তারা তো ভরসা করে পাঠান। আমি তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। প্রাক্তনীদের বলছি, র্যাগিং কী হবে, মাত্রা কী হবে এটা তোমরা কে ভাবার? হবে কেন র্যাগিং? এমন কিছু সৃষ্টি হবে কেন যে একজন পড়ুয়া প্রাণ হারাবে?"
সমাজ ব্যাবস্থা দায়ী, মানুষের হিংসে আজকাল স্তরে স্তরে বাড়ছে। ধিক্কার জানালেন রূপাঞ্জনা। মৃত ছাত্রের মায়ের শোক যেন কাঁটার মত বিঁধছে তাঁর গায়ে। ছাত্ররা ভয় পাবে তাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে যেতে? কেন? সকলের উদ্দেশ্যেই প্রশ্ন ছুঁড়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, "অন্যায়টা মারাত্মক চলছে। এত ডিপরুটেড যে ওরা এটাও মিটিং করছে যাতে সকলেই এক বুলি আওড়াতে পারে।"