যাদবপুরে পড়াশোনা হয় না? শুধুই নেশার আঁতুড়ঘর? বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী হিসেবে আওয়াজ তুললেন টেলিভিশনের জুন আন্টি অর্থাৎ উষশী চক্রবর্তী। শেষ কিছুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে যা চর্চা, এবং অভিযোগ তাতে, ভাল দিক ঢাকা পড়ে যাচ্ছে?
তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তথাকথিত, বাম মনস্ক একজন মানুষ হিসেবেই পরিচিত। বাবা শ্যামল চক্রবর্তী বাম আমলের উল্লেখ্য নাম। উষশী নিজে যাদবপুরের ছাত্রী। শেষ কিছুদিন যা ঘটেছে তাতে শোকাহত। তারপরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। সোজা জানালেন, তিনি এমফিল পিএইচডি করেছেন যাদবপুর থেকে। কিন্তু বয়েস হোস্টেলে যে এসব হয়...
তিনি বললেন, "আমরা ক্যাম্পাস লাইফ দারুণ উপভোগ করেছি। মজা করেছি। কিন্তু র্যাগিং হয়, তাও আবার যাদবপুরের মেন হোস্টেলে এটা আমি সত্যি জানতাম না। কারণ, আমরা নিজের চোখে এটা দেখিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী হিসেবে আমি গভীর শোকাহত। আমি ভাবতেও পারছি না, একটা শিশুর প্রাণ চলে গেল। আমি সেকারণেই তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন - রাহার ওপর যত্ত নজর, আলিয়ার মেয়েকে চুরি করতে চান অনন্যা!
এখানেই শেষ নয়। গতকাল আরেক প্রাক্তনী অরিত্র দত্ত বণিক জানিয়েছিলেন, যাদবপুরের ক্যাম্পাসে সকলের অবাধ বিচরণ। গঞ্জিকা সেবন থেকে গর্ভনিরোধক বড়ি সবকিছুই মেলে এই ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন তিনি। এমনকি এও বলেছিলেন, যে হেনস্থা কিংবা র্যাগিং শুধু ছাত্ররা নয়, শিক্ষকরাও সমান জড়িত। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয়কে সঙ্গ দিলেন উশসী। বললেন...
"লোকজন এমন হাবভাব করছেন যেন যাদবপুরে পড়াশোনা হয় না। অন্ধকার জগতে ভর্তি যাদবপুর? কে বলেছে? এখানে পড়াশোনা হয়। সাংস্কৃতিক চর্চা হয়। যাদবপুরের অ্যালুমনিরা সারা বিদেশে ছড়িয়ে আছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে এভাবে নিশানায় রাখা উচিত?" এতদিন পর, মুখ খুলছেন প্রাক্তনীরা। কেউ কেউ নিজেদের অসুবিধার কথা জানাচ্ছেন। কিন্তু, প্রশ্ন একটাই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে না কেন? যদিও এর কোনও উত্তর দেন নি উষশী।