Rath Yatra 2025: আজ বাঙালির কাছে এমন এক দিন, যেদিন সে অন্যরকম উৎসবে মাতে। আজ রথযাত্রা। মহাপ্রভু শ্রী জগন্নাথ এদিন, মন্দির থেকে তাঁর ভক্তদের উদ্দেশ্যে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তাঁর চোখের পলক পরে না। তিনি সকলকে অপলক দৃষ্টিতে দেখেন। এমনিও সবদিকে তাঁর নজর। ভক্তদের নানাভাবে তিনি লক্ষ্য করেন। আর, একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, আজকের দিনে বাংলার দিকে দিকে মহাপ্রভুর যেমন রথ পথে শোভা বাড়ায়, ঠিক তেমনই ছোট ছোট বাচ্চারা রাস্তায় রথ নিয়ে বেরোয়।
বাংলার বুকে এবার বিরাট রথযাত্রা। দীঘার বুকে, এবার প্রথম রথযাত্রা। সেখানে নানা উৎসব হচ্ছে গতকাল থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন সেখানেই। তিনি তদারকী করছেন নিজের মতো করে। বাংলা এবং উড়িষ্যা জুড়ে এখন একটাই আলোচনা, দীঘার রথ নাকি পুরীর রথ। দীঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হয়েছে কিছুদিন আগেই। আর সেকারণেই আজ বিরাট বড় রথযাত্রা সেখানে। এমনকি, বাংলার তারকারা কী বলছেন এই নিয়ে? দীঘার রথ নিয়ে অভিনেত্রী মানসী সিনহাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। অভিনেত্রী বলছেন...
"আমার কিছুই বলার নেই। দীঘার রথ নিয়ে আমার উত্তেজনা নেই। মানুষ যাচ্ছেন, সরকারের পয়সা আসছে। মানুষ দেখতে যাচ্ছেন, ভাল তো। কেউ কেউ নতুন কাজ করছে সেখানে।" এখানেই শেষ নয়। এরপরই মানসী সিনহা জানালেন তাঁর কথা। ছোটবেলায় কিভাবে রথ টানতেন, সেকথা শেয়ার করলেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে। অভিনেত্রী বলছেন, "আমার ছোটবেলায় রথ ছিল সাংঘাতিক আনন্দের। দেবদারু গাছের পাতা দিয়ে রথ সাজাতাম। রঙিন কাগজ কেটে কেটে রথ সাজানো হত। সে কি আনন্দ। এবং রথ টানার থেকেও সবথেকে বড় আনন্দ ছিল, কে কত পয়সা পাচ্ছে! সকলে ১৫ পয়সা এবং ২৫ পয়সা করে দিত। এবং আমরা সেগুলো জড়ো করে, একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতাম। যে তুই কত পেলি? তখন ভগবান কে কত প্রনামী পেল দেখার দরকার নেই। কিন্তু, এসব করতাম।"
ছেলেমেয়ের জন্য রথ সাজিয়েছেন। তবে, একটা সময় পর এখন সবকিছু যেন ফিকে। এবং, রথ টানার এখন সুযোগ হয় না। রাস্তা দিয়েও রথ টানার মতো সুযোগ হয় না। তবে, ছোটবেলার স্মৃতিগুলো আজও ভোলেননি তিনি। কেন? অভিনেত্রী বলেন, "রথের মেলায় বাবা নিয়ে যেত। এবং সেখানে গিয়ে কাঠের একটা খেলনা আমি কিনতামই। নয়তো, সেটা পুতুল কিংবা খেলনা বাটি। এগুলো সারাজীবন মনে থাকবে।"