বাঙালির ড্রয়িংরুমে সন্ধ্যে জমিয়ে রাখে ধারাবাহিক 'জাহানারা'। টেলিকাস্ট শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টিআরপি তালিকার প্রথমদিকে নিজের জায়গা পাকা করেছিল পায়েল দে ও শ্বেতা মিশ্রর যুগলবন্দী। ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে শ্বেতা। কিন্তু শুটিং পর্ব মিটে গেলে অথবা অবসর সময়ে কী করতে পছন্দ করেন অভিনেত্রী? এই সবই শোনা গেল তাঁর মুখে।
আড্ডা শুরু হওয়ার আগে নিজেই জানিয়ে দিলেন, নায়িকা নয় অভিনেত্রী হতে চান তিনি। যদিও বলিউডে পাড়ি দেওয়ার ইচ্ছে রয়েছে ষোলোয়ানা। বড়পর্দায় না গিয়ে ধারাবাহিককে বাছার কারণ? একটুও সময় না নিয়ে জাহানারা বললেন, ''প্রথমে আমি দ্বন্ধে ছিলাম কাজটা করব কিনা! কিন্তু ভায়াকম অফার করার পর গল্পটা পছন্দ হয়। তাছাড়া কোথাও থেকে তো শুরু করতে হবে। আর দেখুন, একা মেয়ের কলকাতা শহরে টিকে থাকতে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাও প্রয়োজন''।
ফোটো- শ্বেতার ফেসবুক সৌজন্যে।
এই প্রজন্ম ধারাবাহিকে আগ্রহ না দেখালেও শ্বেতার মত, টেলিভিশন এক অর্থে অভিনয় শিক্ষার জায়গাও। টানা বারো-চোদ্দো ঘন্টা ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে কাজের সঙ্গে শিখতেও পারা যায়। স্কটিশে বটানি অনার্স পড়তে আসা শ্বেতার ধারাবাহিকে প্রথম কাজ। সেখানে বিপরীতে পেয়েছিলেন পায়েল দে-কে। ''আমার অভিনয় যাত্রার প্রথমদিকে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছে পায়েল দি, অনেক সহজ করেছে আমাকে। আমি টেকনিক্যালিটির দিক থেকে ভীষণ খারাপ ছিলাম। এখন সিরিয়ালটা না করলেও আমার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।''
আরও পড়ুন,ঋতুপর্ণার অনস্ক্রিন স্বামী অনুরাগ কাশ্যপ
জাহানারা ধারাবাহিকে শ্বেতা ও পায়েল।
জাহানারা, শ্বেতা মিশ্রকে তারকা অনুভূতি না দিলেও ইন্ডাস্ট্রির মানচিত্রে ঠাঁই দিয়েছে তো বটেই। বাস্তবের শ্বেতা আর পর্দার জাহানারার লুক আলাদা বলে দর্শক প্রথমদিকে চিনে উঠতে পারতেন না এখন কিছুটা মিল পান। এ তো গেল বাকি সব কথা। তবে ছুটির দিনে খেয়ে-ঘুমিয়ে, বই পড়ে, অনলাইন সিরিজ দেখেই কাটে জাহানারার।