/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/jahnvi-kapoor-and-sridevi.jpg)
জাহ্নবী কাপুর - শ্রীদেবী
অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুর ( Janhvi Kapoor ) সবথেকে বেশি মিস করেন তার মাকে। আর হওয়ারই কথা, শ্রীদেবীর ( Sridevi ) আকস্মিক মৃত্যু একেবারেই স্তব্ধ করে রেখে দিয়েছিল সেদিনের বছর ২০ এর মেয়েটিকে। তখনও প্রথম ছবির শুটিং শেষ করেননি, মা দেখে যেতে পারলেন না। এই আফসোস তার সারাজীবন থাকবে, জাহ্নবী জানিয়েছিলেন নিজেই।
তবে বেশিদিন শোক জিইয়ে রাখেননি তিনি। নিজের মনকে শক্ত করেই ধড়কের সেটে ফিরেছিলেন। বাস্তবতাকে আলিঙ্গন করেই মায়ের মতই রুপোলি পর্দায় হাঁটার শপথ নেন। কেমন ছিল সেইসব দিন? জাহ্নবী বলেছিলেন, এমন তীব্র শোক - দুঃখ কষ্টের থেকে সিনেমার সেটই তাকে বাঁচিয়েছিল। অন্যান্য কলাকুশলীরা তাকে সহানুভূতি দেখানোর পরিবর্তে যাতে আরামের সঙ্গে কাজ করতে পারেন সেদিকে নজর রেখেছিল। এককথায় তাদের এমন সহযোগিতা দেখে বেশ অবাক হয়েছিলেন জাহ্নবী। অচেনা মানুষদের ভালবাসাই তাকে নিজের জীবনে ফিরতে অনেক সাহায্য করেছিল। এত সহজ সবকিছু ছিল না, পরিবারের তরফেও অনেক সাহায্য পেয়েছিলেন। ধড়ক ছবিতে কাজ করতে না পারলে কীভাবে সবকিছু ঠিক হত, সেটি ভাবনাতীত।
এক সাক্ষাৎকারে, পরিচালক শশাঙ্ক খৈতান জানিয়েছিলেন - চারিদিকের পরিস্থিতি যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখারই চেষ্টা করা হত। তারা বুঝতে পেরেছিলেন যত সহানুভূতি দেখানো হবে জানভির পক্ষে ততটাই মুশকিল হবে। ফোকাস ছিল কাজের ওপর, যা ঘটেছিল তার ওপর নয়। সময়ের ওপর ছেড়ে দিলে একদিন সবকিছুই ঠিক হয় এইভাবেই নিজেদেরকে কাজে নিয়োজিত করেছিলেন। ১২ ঘণ্টাই কাজ হত, জাহ্নবীর প্রতি তার ব্যক্তিগত এবং পেশাদারিত্বের প্রতিশ্রুতি ছিল। সেটে অন্যদের প্রতি দায়িত্ব ছিল।
ব্যক্তিগত জীবনেও তখন নানা টানাপোড়েন। পুলিশি কথোপকথন, তদন্ত, এবং কাছের মানুষকে হারানোর যন্ত্রণা গ্রাস করেছিল তাকে। সবকিছুই করতেন, কিন্তু মন থাকতো এক্কেবারে অন্য জায়গায়। অনেক মানুষের থেকেও নানান কটূক্তি শুনেছেন তারপরেও থেমে থাকেননি, নিজেকে আরও ব্যস্ত রাখতে শুরু করেন। তবে ভাইবোনদের পাশে পেয়েই নিজেকে অনেক এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, এখনও অর্জুন অন্সুলা এবং খুশির সঙ্গেই দিব্যি সময় কাটে তার।