বলিউডে শুরু হয়ে গিয়েছে দীপাবলির অনুষ্ঠান। বাকি নেই রাজ ঠাকরের দিপৎসব পালন। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন জাভেদ আখতার। দিলেন জয় শ্রী রাম ধ্বনিও।
ভারতের ঘরে ঘরে ছোটবেলা থেকেই রামায়ণ এবং মহাভারত পড়ে বড় হন সকলে। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য শব্দটা যেন একেবারেই সঠিক ভারতের ক্ষেত্রে। এবার ভারতের সংস্কৃতি এবং সিয়ারামকে নিয়েই এক গুরুত্বপূর্ন বার্তা দিলেন জাভেদ আখতার। এমনকি ভাষণ রাখলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি তথা ভারতের গণতন্ত্রের ওপর।
কী বললেন তিনি?
তিনি নাস্তিক, ঠিক এমনটাই দাবি করেছেন গীতিকার। কিন্তু, তাই বলে সিয়ারাম শব্দটাকে অস্বীকার করার সাধ্য নেই তাঁর। তিনি বলছেন, "আমি নাস্তিক। কিন্তু রাম এবং সীতা ভারতের সম্পদ। সেকারণেই আমরা এখানে অংশ নিয়েছি। ছোটবেলায় আমার লক্ষনৌ শহরে বড় হয়ে ওঠা। সেখানে যারা একটু উচ্চবিত্ত তারা সুপ্রভাত বললেও বেশিরভাগ জয় শ্রী রাম বলতেন। আমি এভাবেই বড় হয়েছি। এসব শুনেই জীবনে এগিয়েছি।"
সিয়ারাম শব্দের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তিনি দাবি করেন শব্দ দুটি কিন্তু একসঙ্গে উচ্চারিত হয়। আলাদা নয়। এরমাঝে সকলকে জয় শ্রী রাম বলতেও অনুরোধ করেন তিনি। শিল্পীর কথায়, আমি ধন্য এমন দেশে জন্মাতে পেরে। মর্যাদা পুরোষত্তম শব্দটার সঙ্গে সবার আগে রামের মিলই পাওয়া যায়।
কথা বললেন হিন্দু সংস্কৃতি এবং সম্প্রদায় নিয়েও...
ভারত গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। যদিও, বর্তমানে এই দেশে রাজনৈতিক ডামাডোলে ধর্মকেই সবথেকে আগে হাতিয়ার করা হয়। কিন্তু, এদিন শিল্পীর কথায় শোনা গেল হিন্দু সম্প্রদায়ের কথা। বললেন...
হিন্দুদের মনটা খোলা আকাশের মত। ওরা ভীষণ বড় মনের মানুষ। নিজেকে ভেতর থেকে নষ্ট না করে দিলেই হল। ওরা যদি কারওর কথায়, কারওর উস্কানিতে বিশ্বাস না করেন তাহলেই জানতে হবে সে প্রকৃত হিন্দু। ওদের জন্যই আমরা গণতন্ত্র পেয়েছি।
উৎসবের আমেজে বড় কথা বলে দিয়েছেন জাভেদ। মাঝেমধ্যেই তিনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, তাঁর কথার জেরে তুলকালাম কান্ড ঘটে যায় দেশ জুড়ে।