পাকিস্তানের মুখে ঝামা ঘষে ভারতের মাটিতে পা রেখেই উচ্ছ্বসিত জাভেদ আখতার। বললেন, "উফফ! মনে হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ জয় করে এলাম। চুপ থাকব কেন?"
পাকিস্তানে বসে কিনা সেদেশের সরকারের মুখেই ঝামা ঘষে দিলেন জাভেদ আখতার। যাকে বলে সার্টিক্যাল স্ট্রাইক একেবারে! পাক-সাহিত্যসভায় যোগ দিতে গিয়ে বলেন, "২৬/১১ তারিখটা কিন্তু ভোলেনি ভারত। সে হামলাকারীরা আজও পাকিস্তানে অবাধে ঘুরছে।.. পাকিস্তান কখনও ভারতীয় শিল্পীদের যথাযথ সম্মান দেয়নি।" এরপরই আখতার সাহেবকে নিয়ে দেশে হাততালি। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে ঝগড়া ভুলে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা রানাউতও। তবে তাতে জাভেদের মনের বরফ গলেনি। বরং, 'ক্যুইন'কে একহাত নিয়ে কবি-গীতিকারের পাল্টা মন্তব্য, "ও কী বলল, তাতে কিচ্ছু যায় আসে না আমার..।" এবার পাকিস্তান থেকে ভারতে পা রাখতেই বিমানবন্দরে জাভেদ আখতারকে ঘিরে ধরল সংবাদমাধ্যম। সেখানেই ফের বড়সড় মন্তব্য তাঁর।
প্রথমেই জাভেদের প্রশ্ন, "কী এমন তীর মেরে এলাম যে, সবাই এত কথা বলছে..?" এরপরই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় কবি-গীতিকার জানান, "দেশে ফিরে মনে হচ্ছে যেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিতে এলাম। এত মানুষের এত প্রতিক্রিয়া, সংবাদমাধ্যমের এত্ত কথা.. যে আমি বিরক্ত হয়ে ফোন ধরাই বন্ধ করে দিয়েছি। ভাবলাম, কী এমন করলাম রে বাবা! আমার যা বলার ছিল পাকিস্তানকে সেটা বলে এসেছি। চুপ থাকব নাকি?"
<আরও পড়ুন: ‘২৬/১১ ভোলেনি ভারত..’ পাকিস্তানে দাঁড়িয়ে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ জাভেদ আখতারের! প্রশংসা কঙ্গনার>
এখানেই অবশ্য থামেননি তিনি। জাভেদ এও যোগ করেন যে, "শুনছি, লোকে আমার সম্পর্কে নানা কথা বলছে। জিজ্ঞেস করছে, কেন আমাকে ভিসা দেওয়া হল? এইধরণের বিতর্কিত কথা বলা অকেবারেই উচিত হয়নি। দুই দেশের মানুষই খুব স্পর্শকাতর। আমি যেখান জন্মেছি, বড় হয়েছি, সেখানেই ভয় পাইনি তো আর যে দেশে (ভারতে) আমার মৃত্যু হবে সেখানে ভয় পাব কেন?"
<আরও পড়ুন: ‘দেশ আগে..’, পাকিস্তানি সিনেমায় অভিনয় করবেন না, সাফ কথা রণবীর কাপুরের>
"পাকিস্তানের একটা বড় অংশ ভারতের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রাখতে চায়। কারণ ওরা বুঝতে পারছে যে প্রতিবেশী দেশ ভারত এত এগিয়ে গেছে শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতি, কাজকর্মের দিক থেকে সেখানে শত্রুতা করার কোনও মানেই হয় না", জানালেন জাভেদ আখতার।