জাভেদ আলি সারেগামাপার মঞ্চে একের পর এক পারফরমেন্স দিয়েই মন জয় করছেন। এবারও ব্যতিক্রম না। কারণ, এবার তিনি রবীন্দ্র সংগীত গেয়েই সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
এই রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে একদিকে যেমন কিছু বিচারক নিজেদের বিচার এবং ভাষার কারণে সমালোচিত হচ্ছেন, অন্যদিকে জাভেদ আলী নিজের গানে মাধ্যমে মানুষের ভালবাসা কুড়িয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। আর আজ যখন তিনি রবীন্দ্র সংগীত গাইলেন, তখন তাঁকে নিয়ে আরও ভালবাসা দেখালেন বাংলার মানুষ।
যখন সবে সারেগামাপা শুরু হল, তখনই জাভেদ আলী জানিয়েছিলেন, এই শহর সংগীতের দুনিয়ার মহারথীদের তৈরি করেছে। তাই, এখানে এসেই তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। আর আজ রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন,শ্রদ্ধা আর ভালবাসা থাকলে যেকোনও গান গাওয়া যায়। জাভেদ ঠিক সেরকমই করলেন। তিনি আমারও পরাণ যাহা চায়, গেয়েই মন কেড়ে নিলেন সকলের। আর এতেই বাংলার মানুষের আনন্দের শেষ নেই।
একজন অবাঙালি হয়েও যে এত সুন্দর রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়া যায়, সেকথা জাভেদ না গাইলে যেন বোঝা যেত না। আর এদিকে, বাংলার মানুষ তাঁর স্পষ্ট উচ্চারণ শুনে মুগ্ধ। বহুবছর ধরে মুম্বাইয়ের নাআন শিল্পী গেয়ে আসছেন এই বাংলার গান। তবে, রবি ঠাকুরের গানে যে প্রেম এবং দরদ রয়েছে, সেটা যেন অক্ষরে অক্ষরে উপলব্ধি করলেন তিনি।
দর্শকরা, তাঁর প্রসংশা করে বললেন, আমরা জাভেদ আলিকে রবিঠাকুরের গান গাইতে শুনলাম, এটা যেন অসাধারণ পাওয়া। আবার কেউ বললেন, একজন অবাঙালি মানুষের উচ্চারণ এত সুন্দর, এত প্রাণঢালা সুর, ভাবাও যায় না। কারওর কথায়, অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। সকলেই তাঁর কদর করেছেন কারণ, বাংলা ভাষা সঠিকভাবে না জেনেও তিনি এত স্পষ্ট উচ্চারণে গেয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলার এই সিজনে প্রথমবারের মতো বিচারকের ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। এবার দলে বিচার হচ্ছে সারেগামাপার মঞ্চে। জাভেদ বিচারক হিসেবেও বেশ জায়গা করে নিয়েছেন সকলের মনে।