জওয়ান ছবির মধ্যে দিয়ে আসলেই শাহরুখ কী বোঝাতে চেয়েছেন? তিনি কি ছেলের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের বদলা নিলেন নাকি, দেশের মানুষের ভাল চাইতে গিয়েই আস্ত একটা ছবি বানিয়ে ফেললেন..
২০২৩ সালে দাঁড়িয়েও সরকার সংক্রান্ত নানা সমস্যার যেভাবে পর্দা ফাঁস তিনি করেছেন তাতে চমকে যেতে হয়। ছেলে আরিয়ানকে এনসিবি তলব করার পর থেকেই একটা রাত, চোখের পাতা ঠিক করে ফেলেননি তিনি। কিন্তু, সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়েই কতটা শান্ত থাকা যায়, সেই পরিচয়ও দিয়েছেন। বিতর্ক, কটাক্ষ সবকিছু সহ্য করেও চুপ! শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে গিয়েছেন। সমস্ত বাঁধা পেরিয়ে যখন ফিরলেন, তাঁর ভক্তরা আবার একবার জিতিয়ে দিলেন তাঁকে।
আরও পড়ুন - ‘হাসি পায়, মজা লাগে …’, রাহুল-প্রিয়াঙ্কার নতুন জীবন শুরু, ঢাক ঢোল পেটালেন সন্দীপ্তা!
শাহরুখের জীবনে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ছবি একেবারেই নতুন নয়। তবে, বাস্তবকে উপেক্ষা না করলে এই ছবিতে এমন কিছু বার্তা তিনি দিয়েছেন যাতে তাঁর প্রশংসা না করলে চলে না। ছবির একটি নির্দিষ্ট জায়গায় তাঁকে ভোটিং সিস্টেম প্রসঙ্গে বলতে শোনা যায়। যাদের ক্ষমতায় আনছেন, তাঁদের প্রশ্ন করবেন না? শাহরুখের এই ইঙ্গিত কি তবে ২৪ এর ইলেকশনের দিকেই? বিষদে না বললেও, এক ভক্তের প্রশ্নের উত্তর দিলেন শাহরুখ। ছবি দেখে বেরিয়েই সেই জনৈক লিখলেন, "আপনি যে অসাধারণ বার্তা দিয়েছেন, স্যার। ক্ষমা করবেন, স্পয়লার দিলাম না। আপনার প্রশংসা করলাম।"
এদিকে, দেশের সকলের মঙ্গল চাইতে গিয়েই আসল কথাটি সামনে আনলেন শাহরুখ। বললেন, "কোনও স্পয়লার নেই। দেশের ভাল করতে হলে সমস্ত স্পয়লার মাফ। দেশের সব মানুষের ভোট দেওয়ার আগে বিবেচনা করা উচিত, বুদ্ধি প্রয়োগ করা উচিত। প্রশ্ন করবেন না কেন? তবে, এর থেকে বেশী কিছু আমি বলতে পারব না।"
আরও পড়ুন - সুইস ব্যাংকের ‘কালো টাকায়’ জোরালো নজর, বাস্তবের ‘রবিনহুড’ হওয়ার ইচ্ছে শাহরুখের?
প্রসঙ্গত, তিন দিনেই বাজিমাত শাহরুখের। পাঠানকে টেক্কা দিয়েছেন নিজের মহিমাতেই। পিছনে ফেলেছেন আদিপুরুষকেও। বলিউডের অন্দরে কেবল শাহরুখ নামের গুঞ্জন। দক্ষিণ প্রান্ত থেকেও এসেছে শুভেচ্ছাবার্তা। এখনও আরও রেকর্ড ভাঙ্গা বাকি। কিং খান প্রস্তুতি নিচ্ছেন জোরকদমে।