Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

অভিনেতা না পরিচালক কোন শিবপ্রসাদকে এগিয়ে রাখলেন জয়া?

সামনেই মুক্তি তাঁর নতুন ছবি 'কণ্ঠ'। সেই ছবি উপলক্ষেই শহরে নায়িকা।সুযোগ পেয়ে আমরাও বসে পড়লাম জয়া আহসানের সঙ্গে আড্ডায়।খোলামনে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন অভিনেত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
jaya

জয়া আহসান। ফোটো- জয়ার ইনস্টাগ্রাম থেকে।

বাংলাদেশ ও ভারতে সমানভাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে প্রযোজনা করেছেন একটি ছবিও। একের পর এক প্রথম সারির পরিচালকের ছবি তাঁর ঝুলিতে। তবুও এক ফোনে পাওয়া যায় অভিনেত্রীকে। এদিন ব্যস্ততার মধ্যেই পাওয়া গেল তাঁকে। সামনেই মুক্তি তাঁর নতুন ছবি 'কণ্ঠ'। সেই ছবি উপলক্ষেই শহরে নায়িকা।সুযোগ পেয়ে আমরাও বসে পড়লাম জয়া আহসানের সঙ্গে আড্ডায়।

Advertisment

শিবপ্রসাদ-নন্দিতার সঙ্গে প্রথম কাজ। কণ্ঠর অফারটা কীভাবে এল?

'কন্ঠ'র জন্য অনেকদিন ধরেই কথা হচ্ছিল। প্রথমে একবার সৌমিত্রদার করার কথা ছিল। ওনারা চাইছিলেন আমি ছবিটায় থাকি। তারপর শিবুদা চিত্রনাট্য হাতে দেওয়ার পর মনে হয়েছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই কারণেই 'কণ্ঠ' বেছে নেওয়া।

স্পিচ থেরাপিস্টের ভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছিলেন?

আমি তো আগে কখনও স্পিচ থেরাপিস্ট দেখিইনি। তারওপরে ল্যারিংস ক্যানসারের বিষয়ে আরোই কিছু জানতাম না। চরিত্রটা করবার পরে জানতে পারি স্পিচ থেরাপিস্টের কাজটা কী। তারা ডাক্তারও ঠিক নয়, আবার কাউন্সিলারও নয়। সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিয়মিত সেশন নিয়েছি ইসোফেগাল ভয়েসে কথা বলার জন্য। যাদের ল্যারিংসটা নেই তারাই ইসোফেগাল ভয়েসে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সেটা নয়। সেটাকে ইগনোর করে ইসোফেগালে কথা বলাটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবু প্রথম শট দেওয়ার পর শিবুদার পছন্দ হয়েছে বুঝে স্বস্তি পেয়েছি।

আরও পড়ুন, সব সাধ মিটিয়ে দিয়েছে ‘কণ্ঠ’, বললেন শিবপ্রসাদ্র

অভিনয় ছাড়াও তুমি প্রযোজকও বটে। প্রযোজক জয়া তকমাটা লেগে গিয়েছে তো!

(হেসে) না না! ভাল বা খুব এক্সাইটিং কিছু না হলে বাংলা ছবিতে প্রযোজনা করব না। বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু তো বটেই আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষও সেটা যাতে ভালবাসে। অভিনয়টাই মূল কাজ, সেটাই সামনে রাখতে চাই। পাশাপাশি এটা চলতে থাকবে। একবার করে আনন্দ পেয়েছি। আমার হাত ধরে নতুন কিছু এলে সেটা ভীষণই খুশির কথা।

jaya ahsan ছবিতে স্পিচ থেরাপিষ্টের ভূমিকায় জয়া আহসান। ফোটো- টুইটার

প্রথম সারির পরিচালকদের সঙ্গে মোটামুটি কাজ করে ফেলেছেন। টলিউডের রোষের মুখে পড়ছেন না?

এমা কেন! তা ঠিক নয়। আমি ভাগ্যবান যে এখানকার দর্শক আমার কাজ পছন্দ করেছেন। আর মোটামুটি সব পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। এতে রাগারাগির কিছু নেই। কোন চরিত্রের জন্য আমায় ঠিক মনে হলে পরিচালকরা নেবেন আর সেটার যোগ্য না হলে তো ডাকবেন না তাই না।

সম্প্রতি ফেরদৌস আর গাজির সঙ্গে যেটা হল আপনার কি মনে হয় এই ধরনের পরিস্থিতে দুই বাংলার সম্পর্কে চিড় ধরে?

আসলে কী জানেন তো, শিল্পীরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করে। সেখানে আবেগের বশবর্তী হয়ে এরকম কোনও কাজ করলে সেটা বাকি শিল্পীদের জন্যও প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ভিসায় তো লেখা থাকে কোনও রকম রাজনৈতিক কার্যকলাপে ভাগ নেওয়া যাবে না। আমাদের এই বিষয়গুলোতে আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সাবধানতা অবলম্বন করাটা জরুরি।

পরিচালক না অভিনেতা কোন শিবপ্রসাদকে এগিয়ে রাখবেন?

এখানে তো অভিনেতা শিবুকেই বেশি পেয়েছি। তাই ওকেই বেশি নম্বর দেব। নন্দিতা পরিচালনার কাজটা অনেকটা দেখেছেন যেহেতু শিবুকে অভিনয় করতে হয়েছে। আর আমার মনে হয় নারীরা পরিচালনার মতো কাজ করলে সেখানে সূক্ষ জিনিসগুলো বেশি নজরে আসে (হাসি)। দৃষ্টিভঙ্গিটা প্রখর হয়ে ওঠে।

জয়া আহসানের তো মনে হয় এ বছরের সমস্ত ডেট ভর্তি।

চেনা হাসি। সবে অতনুদার ছবির কাজ শেষ করলাম। এখন না একটু বেছে বেছে কাজ করার চেষ্টা করছি। কিছু কাজ আছে সামনে। ক্রমশ প্রকাশ্য।

jaya ahashan Bengali Cinema
Advertisment