দীর্ঘদিনের যুদ্ধে শেষমেশ হার মেনেছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। ক্যানসারের মতো মারণরোগকে হারিয়ে দু-দু'বার ফিরে এসেছেন মৃত্যুর মুখ থেকে। তবে পয়লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক করে সেই যে হাসপাতালে গেলেন, আর সুস্থ হয়ে ফিরলেন না বাড়িতে। তবে ঐন্দ্রিলার মানসিক জোর আর প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরির চেষ্টা, ধৈর্য পাঠ দিল গোটা প্রজন্মকে। অভিনেত্রীর প্রয়াণে গোটা বাংলা যেমন শোকস্তব্ধ, ঠিক তেমনই পদ্মাপারে বসে শোকে বিহ্বল জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরিরা।
রবিবার বেলায় চিরতরে বিদায় নিয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। বছর চব্বিশের অভিনেত্রীর বিদায়ে শোকাতুর অনুরাগীরা। চোখের জলে তাঁকে বিদায় দিল পরিবার-পরিজন থেকে টলিউডের সহকর্মীরা। ঐন্দ্রিলার জন্য এবার পদ্মাপারে বসে কলম ধরলেন জয়া আহসান।
ঐন্দ্রিলা শর্মার ছবি পোস্ট করে জয়ার মন্তব্য, "ঐন্দ্রিলা কে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না। তবে ওই কিছু মানুষ থাকে না, যাদের দেখলেই কেমন যেন জীবন ঝকমকিয়ে ওঠে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও ঠিক তেমনই জীবন হয়ে আমার কাছে ধরা দিয়েছে বারবার। সবসময় মুখে উজ্জ্বল হাসি। জীবনীশক্তিতে দৃপ্ত চোখ। জীবনের প্রতি মুহূর্ত আদর করে বেঁচে নিচ্ছিল মেয়েটা। সঙ্গে বাঁচার আসল মর্মটুকু শিখিয়ে যাচ্ছিল আমাদের প্রতিনিয়ত। কী হবে জীবন, যদি তা এমন অন্ধকার দিনে ব্যথিয়ে না ওঠে… আজ ওর শেষ যাত্রায় যে অসীম অনুপ্রেরণা রেখে গেল ঐন্দ্রিলা, তাতেই শান্তি আসুক। এমন অনুপ্রেরণা ভেন্টিলেশনের হাজার সুঁচকে বারবার বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জিতে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।"
অভিনেত্রী এও যোগ করেন যে, "সেই অসীম ক্ষমতায় ঐন্দ্রিলা আজ জয়ী। মৃত্যু, শোক, ওকে ছুঁয়ে নতুন অর্থ পেল। ভাল থেকো লড়াকু মেয়ে, মনের মাঝে জীবন চেতনা হয়ে অমর থেকো আজীবন।"
<আরও পড়ুন: মায়া এমনই, একদৃষ্টে গঙ্গার দিকে চেয়ে রইলেন সব্যসাচী>
ঐন্দ্রিলার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরিও। যিনি কিনা এপার বাংলাতেও সমানভাবে জনপ্রিয়। দিন কয়েক আগেই তাঁর অভিনীত হাওয়া নিয়ে গরম ছিল কলকাতা। সেই তাঁকেও দেখা গেল জয়া আহসানের পোস্টে ঐন্দ্রিলার উদ্দেশে শোকবার্তা জ্ঞাপন করতে।