সায়ন্তিকা এবং জায়েদ খান বিতর্ক তুঙ্গে। বাংলাদেশে গিয়ে নানা কান্ড ঘটিয়েছেন সায়ন্তিকা? এমনই দাবি করেছেন ছবির প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। তাঁর কথায়, সায়ন্তিকা এবং জায়েদ দুজনেই অপেশাদার। শুধু তাই নয়, শুটিং এর স্লট জেনেও তাঁরা হাজির হন নি।
প্রযোজক আগেই জানিয়েছিলেন, নৃত্য পরিচালক কে ঘিরে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা মিথ্যে। বরং তাঁকে অপেক্ষা করতে বলে সায়ন্তিকা গাড়ি থেকেই নামেন নি। কিন্তু, সিম্প্যাথি আদায় করতেই সায়ন্তিকা মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন। বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমে তিনি ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন দুই অভিনেতার বিরুদ্ধে! এককথায় রেগে আগুন, কোনও মতেই এখন আর নিঃশর্ত ভাবে কাজ করবেন না।
কী বলছেন তিনি?
প্রযোজকের দাবি, "এই গল্পটি নিয়ে আমার ওয়েব সিরিজ বানানোর কথা ছিল। কিন্তু, জায়েদের অনুরোধে আমি ছবি শুরু করি। বুঝতে পারিনি এমন কিছু হবে। জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা মিলে ফাঁসিয়ে দিল আমাকে। কী আর করব, সব বিচার ওপরওয়ালার ওপর ছেড়ে দিলাম।" পরিচালক আশাহত দুই তারকার ব্যবহারে। শুধু তাই নয় বেশ কিছু শর্তের উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন - ‘সবকিছু বেডরুমে মিটিয়ে নেওয়াই ভাল..’, সায়ন্তিকা বিতর্ক-প্রাইভেসি নেই? বিস্ফোরক জায়েদ খান
কী কী শর্ত রাখলেন?
এপার বাংলার একজন শিল্পী গিয়ে ওপারের কোনও আর্টিস্টকে অপমান করবেন, ভাবতেও পারেন না তিনি। তাই তো, বললেন আমি এটা কোনোভাবেই মেনে নেব না। অসম্ভব! আমার দেশের একজন শিল্পীকে অপমান করবে এটা কাম্য নয়। আগে ওদের মাইকেলের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। শুটিং নিয়ে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার করা চলবে না। নাহলে কাজ হবে না। সোজাসুজি বললাম, প্রায় ৩৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। প্রয়োজন হলে জলে যাক টাকা। তা–ও আর এই ছবির কাজ শেষ করব না। আজ, মাইকেল, কালকে পরিচালককে অপমান করবে। পরশু ইউনিটের কাউকে অপমান করবে। এসব তো মেনে নেব না।
উল্টোদিকে, সায়ন্তিকা বলেছিলেন, যে টেকনিক্যাল সমস্যার কারণেই তিনি শুটিং করতে রাজি নন। সেই সংক্রান্ত সব সমস্যা নাকি তিনি প্রযোজককে জানিয়েছিলেন। তাও, লাভ হয় নি। কিন্তু জায়েদ আবার অন্য সুর গাইছেন। কী বলছেন নায়ক?
বাংলাদেশের তারকা হয়েও তিনি প্রযোজকের কাণ্ডে স্তম্ভিত। সোজা বললেন, "এত অব্যবস্থা শুটিং জুড়ে। যে নায়িকার হোটেল ভাড়া থেকে কস্টিউম সবকিছুই আমি দিয়েছি। ১ লাখ ৩০ হাজারের ওপর বিল এসেছিল। প্রযোজক ৯৭,০০০ দিয়ে চলে গিয়েছেন। বাকি টাকা আমি দিয়েছি।" কিন্তু! প্রযোজক জানিয়েছেন, "৬ই সেপ্টেম্বর অবধি আমার সিনেমার শুটিং চলেছে। সেই টাকা বুঝিয়ে আমি ঢাকা এসেছি। তারপরও অনেকে এক দুদিন ছিল হোটেলে। সেই টাকা আমি কেন দেব?"