'হোটেল রুমে কী করছিল দুজনে? চার ঘণ্টা লাগে!' বিস্ফোরক সায়ন্তিকা-জায়েদের প্রযোজক

জায়েদ খানের ছবির ফ্লোর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন সায়ন্তিকা। অভিনেত্রীর দেশে ফিরে আসার পর থেকেই শোরগোল। তিনি নাকি শুটিং ফ্লোরে অপমানিত হয়েছেন। কোরিওগ্রাফার মাইকেল অকারণে হাত ধরেছেন তাঁর! শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে! কিন্তু, বাংলাদেশ পত্রিকা সূত্রে খবর..

সায়ন্তিকা বাংলাদেশে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পরপর দুটি ছবিতে সাইন করেছিলেন, জায়েদ খানের সঙ্গে। সেখানেই নাকি গন্ডগোল। ড্যান্স কোরিওগ্রাফারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সায়ন্তিকা। কিন্তু, সমস্ত রটনা নাকি মিথ্যে এমনই দাবি করেছেন ছবির প্রযোজক। এবং তাঁর কারণ মাইকেল নয়, বরং তিনি তোপ দেগেছেন সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে। অপেশাদার, মারকুটে অভিযোগ এনেছেন প্রযোজক। বলেছেন...

"অভিনেত্রী যে ধরনের কথাবার্তা বা মন্তব্য করেছেন সেগুলি সম্পূর্ন মিথ্যে। উনি পরিচালককে ফোন করে মারতে পর্যন্ত চেয়েছিলেন। এখন অভিযোগ আমার দিকে তুলেছেন। কেন? তার কোনও উল্লেখ নেই। আমার সঙ্গে তার সমস্যা হলে মাইকেলকে কেন বসিয়ে রাখবেন? একজন তারকা যদি নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে না পারেন, তা হলে আমার আর কিছু বলার নেই।"এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বেশ কয়েকটি নিন্দনীয় কথাবার্তা বলেছেন। সায়ন্তিকা এবং জায়েদ খানকে নিয়ে তুমুল অভিযোগ এনেছেন তিনি। কী বলছেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম?

আরও পড়ুন - এককালে জিৎ-দেব ছিলেন সহ অভিনেতা, কাজের অভাবে বাংলাদেশের ফ্লপ-হিরোই ভরসা সায়ন্তিকার?

তাঁর কথায়, "আমি অপেশাদার নই! উনি আসলে নিজের কথার ঠিক রাখতে পারেন না। চুক্তির বাইরে গিয়ে, ওকে আমরা পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছিলাম, বলেছিলেন পোশাক নিয়ে আসবেন। সেটাও আনেন নি। এখান থেকে ওর পোশাকের ব্যবস্থা করা হলে সেগুলো ফেরত দিয়ে যায়নি। এগুলো কী?" এমনকি সায়ন্তিকার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রযোজক। বলেন..."ওরা ড্রেস চেঞ্জ করতে গিয়েছিল, জায়েদ এবং সায়ন্তিকা। হোটেল থেকে জামা চেঞ্জ করে ফিরল প্রায় চার ঘণ্টা পর। কী করছিল এতক্ষণ? এগুলো আমি বলতে চাই নি। কিন্তু, আজ বলতে বাধ্য হলাম।"

আরও পড়ুন - ‘বেশি সঙ্গে থাকলেই কিন্তু ED…!’ সায়ন্তিকাকে খোলা চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর, তারপর?

প্রসঙ্গত, ঘটনায় বেশ উদ্বিগ্ন জায়েদ খান। তাঁর মন্তব্য, সায়ন্তিকা এবং তাঁর গায়ে কালিমা লেপন করা হচ্ছে। জেনে বুঝে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তাঁকে নিয়ে। যদি, আগে জানতেন তবে সায়ন্তিকাকে একেবারেই ডাকতেন না।