/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/12/jeet-2025-09-12-17-57-25.jpg)
পুজো নিয়ে যা বললেন জিৎ
Jeet Ganguli: পুজো আসছে। আর এই অভিজ্ঞতাই যেন সকলের কাছে ভীষণ আনন্দের। পুজো আসছে আসছে, শরতের সাদা মেঘের আকাশ, সঙ্গে কাশফুল - সব মিলিয়ে এই আনন্দ যেন বাঙালির সবথেকে প্রিয়। এবং তারকাদের ছোটবেলার পুজো কিন্তু একেবারেই আর পাঁচজনের মতোই ছিল। কেউ কেউ জন্মেছেন তারকার ঘরে, আবার কেউ কেউ পরবর্তিতে স্টার হয়েছেন। জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজেও তাই।
বাংলা ছবির গানের ধারা বদলে দেওয়া মানুষটার কাছে পুজোর অভিজ্ঞতা একদম অন্য। মা দুর্গার দিকে ঘণ্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকতে পারেন তিনি। আর দুর হতে যেই গান ভেসে আসত... সেই অপরূপ স্মৃতিরাই আজও তাঁর মন প্রাণ ঘিরে রেখেছে। উত্তর কলকাতার ছেলেটার কাছে পুজো মানেই ছিল প্যান্ডেল ভ্রমণের নামে গান শোনা। জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে বললেন... "গান বাজনার সঙ্গে তো থাকতামই। ছোটবেলার পুজো ছিল যে বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে গিয়ে, প্যান্ডেলে বসে পড়া। ভাল গান শুনলেই আমি প্যান্ডেলে বসে পড়তাম। 'কোথা কোথা খুঁজেছি তোমায়...' তখন বাজছে মাইকে। আমি প্যান্ডেলে বসে যেতাম। আর বন্ধুরা চূড়ান্ত রেগে যেত। ওরা আমায় বলত, কী রে চল? পরেরটা দেখবি না? আর আমি বলতাম, গানটা শুনে নি। তারপর চল। ওরা রেগেমেগে বেরিয়েই যেত। আর আমি গান টান শুনে আসতাম। মা জিজ্ঞেস করতেন, কয়টা ঠাকুর দেখলি, আমি বলতাম একটাই। কারণ গান শুনছিলাম।"
পুজোর সঙ্গে তাঁর আত্মার সম্পর্ক। মণ্ডপের একপাশে বসে থেকেই যেন মনের সুখ পেতেন তিনি। সামনে মা, প্যান্ডেলের এককোনায় বসে, হালকা গান ভেসে আসছে, সেই স্মৃতিতেই ডুব দিলেন জিৎ। নিজের পাড়া তো বটেই, বেপাড়ায় গিয়েও চেয়ার টেনে বসে পড়তেন সুরকার।
পুজো ও মহালয়া...
তবে, যেখানেই থাকুন না কেন, মহালয়া শুনতে ভুল হয় না তাঁর এবং তাঁর সহধর্মিনীর। কলকাতা কিংবা মুম্বাই যেখানেই থাকুন না কেন, মহালয়া যে শুনতেই হবে। বললেন, "রিপিটেড ভার্সন না। ভোর ৪টে উঠে হাতে একটা চায়ের কাপ থাকবে, মহালয়া শোনা আমাদের মাস্ট। নাহলে পুজো শুরু হয় না আমাদের। কলকাতা মুম্বাই যেখানেই থাকি না কেন, এটা আমাদের করতেই হবে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় সেই চণ্ডীপাঠ, আর অসম্ভব সুন্দর আগমনী গান, এ না শুনলে সারা বছর মাটি।"
পুজো এবং প্রেম..
জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর পুজোর প্রেম হয়নি। কিন্তু সবসময় বন্ধুদের জন্য গান লিখে দিতেন তিনি। কলেজে স্কুলে বন্ধুদের অনুরোধ থাকত তাঁর কাছে, "একটা গান বানিয়ে দে, ইমপ্রেস করতে হবে।" তবে প্রেমের কথা বলতে গিয়েই সোজাসাপ্টা বললেন, একজনকে ঠিকঠাক গান শুনিয়েছিলাম। সেটা হল চন্দ্রানি। ওটাই একদম ঠিকঠাক হয়েছিল।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us