বয়স নিশ্চই প্রেম মানে না। কিংবা বুঝেশুনে প্রেম করা গেলেও, বয়স দেখে প্রেম হয় না। এহেন সম্পর্কের গল্প বহু আছে ইন্ডাস্ট্রির বুকে। ফের আবারও সেই রকম এক গল্প আসছে জি বাংলার পর্দায়। চিরদিনই তুমি যে আমার সিরিয়ালে তাঁদের দেখা যাবে। যেখানে, দেখানো হবে এক অসম প্রেম।
জিতু কামাল এবং দিতিপ্রিয়া, দুজনেই এই সিরিয়ালে যে কতটা লাভি ডাবি সে তো প্রমোতেই দেখা দিয়েছে। আর এবার অভিনেতা এবং অভিনেত্রী দুজনেই সিরিয়ালের প্রমোশনে নাচ গান করছিলেন। একে অপরের সঙ্গে বাহুডোরে বেশ রোমান্টিক নাচ নাচতেই ব্যস্ত ছিলেন। দুজনের পরনেই ফর্মাল পোশাক। আর সেই নাচ দেখেই নানা মন্তব্য। জিতু এবং দিতি দুজনের বয়সের ফারাক অনেক। বাস্তবের সঙ্গে গল্পের খাপ খাওয়াতে যে এহেন কাস্টিং, সে বুঝতে অসুবিধা নেই।
প্রায় অনেকদিন পর অভিনেতা সিরিয়ালে ফিরেছেন। এতদিন ছবির কাজে তিনি ব্যস্ত ছিলেন। তবে, এখন সিরিয়ালে মন দেওয়ার পালা। কিন্তু, জিতু পর্দার রাসমণির সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নাচতেই নানা কটাক্ষ উড়ে এল। যদিও, জিতুর ঝুলিতে অল্প বয়সী নায়িকা কম নেই। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী নবনীতার সঙ্গেও বয়সের বেশ ফারাক ছিল। তাই তো, ফের একবার অল্প বয়সী নায়িকার সঙ্গে রোম্যান্স করতে দেখেই কেউ কেউ আওয়াজ দিলেন।
কেউ বললেন...বেকার লাগছে। আবার কেউ বললেন, প্রেমিক প্রেমিকা তো দুর, ভাই বোন লাগছে। আবার কারওর কথায়, কতবার এই বেশি বয়সের প্রেম দেখাবেন, আর ভাল লাগছে না। আবার কেউ বলছেন, নায়ক তো বুড়ো হয়ে গিয়েছে। কেউ আবার টিপ্পনি কেটে এও বলেন, এই লোকটা না হয় কাকিমা নয়তো খুকুমণিদের সঙ্গে প্রেম করে, সমবয়সের কাউকে পায় না বোধহয়।
উল্লেখ্য, জিতু কিছুদিন আগেই বড়পর্দায় বাবুসোনা নিয়ে এসেছিলেন। শ্রাবন্তীর সঙ্গে প্রথম কাজ, সেভাবে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। বলা উচিত, কমার্শিয়াল ছবি হলেও দর্শকের মনে রাজ করতে পারেনি এই ছবি। কিন্তু হাল ছাড়লে চলবে না। এখন এই সিরিয়াল আদৌ খেলা দেখাতে পারে কিনা সেটাই দেখার।