Jeetu Kamal and Nabanita Das: নবনীতা দাস ও জিতু কমল প্রথম একসঙ্গে কাজ করেন স্টার জলসা-র 'অর্ধাঙ্গিনী' ধারাবাহিকে। ওই ধারাবাহিকের শেষের দিকে গল্প যখন নতুন মোড় নেয়, তখনই এন্ট্রি হয় জিতু কমল-অভিনীত চরিত্রটির। গল্পের সেই মোড়ই যে শেষ পর্যন্ত ব্য়ক্তিগত জীবনের নতুন মোড়ের দিকে নিয়ে যাবে, সেটা তখন দু'জনের কেউই জানতেন না। এমনকী, বিয়ের কথাবার্তা পাকা হওয়ার আগে জিতু নাকি বলেছিলেন একবার, তোমাকে কেন বিয়ে করব, তুমি তো বাচ্চা মেয়ে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় জিতু জানালেন, ঠিক প্রেম করা বলতে যা বোঝায় সেইভাবে কিন্তু সম্পর্কটা এগোয়নি। বরং বিয়ের প্রস্তাব দিয়েই এগিয়েছে কথাবার্তা। ''আমার বাড়িতে তো অনেক দিন ধরেই বিয়ের জন্য সবাই ব্য়স্ত হয়ে পড়েছিল'', বলেন জিতু, ''নবনীতার সঙ্গে কাজের ফাঁকে যখন এমনিই গল্প হতো, তখন সেই নিয়েও কথা হয়েছে। সেটা শুনেই একদিন মজা করে ও বলল, আমাকে বিয়ে করো। আমিও মজা করে উত্তর দিলাম, তোমাকে কেন বিয়ে করব, তুমি তো বাচ্চা মেয়ে। এই মজাটা অনেকদিন ধরেই চলছিল। তার পরে কখন যে বিষয়টা সিরিয়াস হয়ে গেল...!''
জিতু কমল ও নবনীতা দাস। ছবি: জিতু কমলের ফেসবুক পেজ থেকে
আরও পড়ুন: ‘তিনবার বিয়ে তো কী!’ সরব বাংলা বিনোদন জগৎ
অথচ এখনও নাকি দুজন দুজনকে 'আই লাভ ইউ' বলেননি, তেমনটাই জানালেন অভিনেতা। তবে 'আই লাভ ইউ' বলা-না বলাতে সত্যিই কিছু আসে যায় না। আর ভালবাসা বা হৃদয়ের সংযোগ না থাকলে বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত কেউ নেন না। তাই বলা বাহুল্য, মুখে ভালবাসি না বললেও, প্রাণের টানটা রয়েছে অবশ্যই। জিতুর বক্তব্য, সেই টানটা তাঁদের দু'জনের মধ্যে যেমন রয়েছে তেমনই হবু শাশুড়ি ও হবু বউমার মধ্যেও রয়েছে প্রবল। আর বউমা তো আবার যে-সে বউমা নয়, স্বয়ং অন-স্ক্রিন 'তারা মা'। ওদিকে জিতু কমলের অভিনয় জীবনের শুরুতে টার্নিং পয়েন্ট ছিল 'ভোলা মহেশ্বর'-এর চরিত্রটি। তাই একদিক থেকে দেখলে অন-স্ক্রিন ভোলা মহেশ্বরের সঙ্গে অন-স্ক্রিন তারা মায়ের বিয়ে হতে চলেছে!
ভোলা মহেশ্বর ও তারা মা। কোলাজ সৌজন্য: জিতু
''আমার মায়ের পছন্দ-অপছন্দটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নবনীতাকে তো মায়ের বেশ পছন্দ ছিলই, বিয়ের কথাবার্তা এগোনোর পরে, দু'জনের মধ্যে অল্পদিনেই খুব সুন্দর একটা বন্ডিং হয়ে গিয়েছে'', জানালেন জিতু। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে জিতু-নবনীতা দু'জনেই এখন বিয়ের সাজসজ্জা, খানাপিনা, হাজাররকম প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। সেই নিয়েও উঠল কিছু কথা। বিয়েতে দুজনেই বাঙালি বর-কনের ট্রাডিশনাল সাজে সাজবেন। আর রিসেপশনের ভোজের মেনুও ঠিক হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: অকালেই চলে গেলেন ‘কামসূত্র’ অভিনেত্রী সায়রা
বউভাতের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রের অংশবিশেষ। ছবি সৌজন্য: জিতু কমল
গরমকালে বিয়ে, তাই থাকছে চার রকমের ফলের রস ও নানা ধরনের কাবাব সহযোগে আপ্যায়ন। মেইন কোর্সে একমাত্র বিরিয়ানি ছাড়া বাকি সব খাবারই খাঁটি বাঙালি। কড়াইশুটির কচুরি, নারকোল দিয়ে ছোলার ডাল, ছানার কোপ্তা, ফিস কবিরাজির পরে আসবে ভোজের সেরা আকর্ষণ-- ভাত সহযোগে গলদা চিংড়ির মালাইকারি। আর বিরিয়ানি অবশ্য়ই আলু-সহযোগে মাটন বিরিয়ানি, বাঙালির যা চিরকালের ফেভারিট।
''রিসেপশনের মিষ্টিটা আসবে আলমবাজার থেকে। ওখানকার রসগোল্লা খুব বিখ্যাত। তার সঙ্গে থাকছে ওখানকার স্পেশালিটি, চকোলেট সন্দেশ ও বাটার সন্দেশ। আর আমের চাটনি, আইসক্রিম তো আছেই'', জানালেন অভিনেতা।