অনীক দত্তর 'চামচা' বলে জিতু কামালকে ভয়ঙ্কর কটাক্ষ। পাল্টা জবাবে ওই সমালোচককে পর্দার সত্যজিৎ রায় এমন জবাব দিলেন যে, মন্তব্য ডিলিট পত্রপাঠ বিদায় নিলেন ওই ব্যক্তি।
Advertisment
ঠিক কী হয়েছে? অনীক দত্তর পাশাপাশি জিতু কামালও বামপন্থী মনোভাবাপন্ন। কলেজজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে কালের নিয়মে কাজের ব্যস্ততায় এখন সেই সক্রিয়তায় খানিক ভাঁটা পড়লেও বাম মতাদর্শ থেকে কিন্তু একচুলও নড়েননি জিতু কামাল। রাজ্যের হাল হকিকত নিয়ে মাঝেমধ্যেই তাঁকে অনীক দত্তর মতো সরব হতে দেখা যায়। তবে অভিনেতার প্রতিবাদের ভাষা যদিও অনীকের থেকে আলাদা। এবার সেই প্রেক্ষিতেই জনৈক জিতু কামালের প্রোফাইলে সটান অভিনেতাকে "অনীক দত্তর চামচা" বলে কটাক্ষ করেন। পরে যদিও সেই মন্তব্য ডিলিট করে ফেলেছিলেন ট্রোলকারী! তবে জিতু কিন্তু স্ক্রিনশট তুলে রেখেছেন। আর সেটাকে হাতিয়ার করেই পাল্টা দিলেন।
একেবারে নিপাট ভদ্র ভাষায়, সুন্দর শব্দচয়নে জনৈক ব্যক্তিকে ওই স্ক্রিনশট তুলে ধরে পাল্টা জবাব দিলেন। জিতু কামালের পাঠ, "ফারসি 'চম্চহ' শব্দ থেকে বাংলা চামচা শব্দের উৎপত্তি। ফারসি ভাষায় ছোট হাতা-ওয়ালা চামচকেও 'চম্চহ' বলা হয়। আমার শিক্ষক অনীক দত্ত বলেছিলেন। জানা ছিল ভাই? না বোধহয়! তাাই কারুর চামচা হতে গেলেও সেই চয়ন সেন্সটা থাকা জরুরী যে আমি কার চামচা হচ্ছি..।" জিতুর এমন মন্তব্যে তো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসেই রিলিজ করেছে 'অপরাজিত'। অতিমারী উত্তর পর্বে বক্সঅফিসে বাংলা সিনেমার দুর্দিনে এই সিনেমার মার্কশিটে যে দর্শকরা একশোয় একশো বসিয়েছেন, তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। কলকাতার পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন মেট্রো শহরে তো বটেই বরং আন্তর্জাতিক ময়দানেও ভূয়সী প্রশংসিত হয়েছে অনীক দত্ত পরিচালিত 'অপরাজিত'। এদিকে পয়লা সিনেমার মলাটরোলেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন জিতু কামাল। জুটিতে যে কামাল করেছেন, তা দর্শকদের মুখে মুখেই ফিরেছে। এবার সেই অভিনেতাকেই কিনা পরিচালকের 'চামচা' বলে কটাক্ষ করা হল! ছেড়ে কথা বলেননি জিতু।