থানার কিঞ্চিৎ মাত্র দূরত্বে এহেন অঘটন। রীতিমতো খুনের হুমকি পেলেন জিতু কামাল এবং তাঁর স্ত্রী নবনীতা? তড়িঘড়ি ছুটলেন নিকটবর্তী থানায়। কী ঘটেছে আসলে?
Advertisment
নিমতার কাছাকাছি এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা। নিজেদের গাড়ি করে কাজের জন্য গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন জিতু এবং নবনীতা। ঠিক সেইসময় নিমতা মাঝেরহাটি মোড়ের কাছে এক পণ্যবাহী গাড়ি তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা মারে। ফলেই সেই গাড়িকে আটকানোর চেষ্টা করেন জিতু নবনীতার গাড়ির ড্রাইভার। তাতেই বেজায় চটে যান সেই ঘাতক গাড়ির ড্রাইভার। বারবার চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন তারকা দম্পতির গাড়িকে। পরেই থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন জিতু নবনীতা।
কিন্তু থানায় গিয়েও লাভের মুখ দেখেননি দুই তারকা। ফেসবুক লাইভেই সমস্ত ঘটনার উল্লেখ করেছেন নবনীতা। সমস্ত ঘটনায় ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছেন নবনীতা। তাদের বক্তব্য, থানায় গেলেও তাঁদের অনেক্ষণ অপেক্ষা করতে বলা হয়। পুলিশের হেনস্থার শিকার হন। এবং ঠিক এই মুহুর্তেই, অভিযুক্ত সেই ড্রাইভার তার দলবল নিয়ে জিতু নবনীতার ড্রাইভারকে হেনস্থা করতে শুরু করেন। দৌড়ে সেখানে উপস্থিত হন দুজনেই। তারপরই ভয়ঙ্কর ঘটনা।
খুনের হুমকি দেওয়া হয় অভিনেত্রীকে। শুধু তাই নয়, নবনীতাকে ধর্ষনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। থানা থেকে দূরত্ব হাতের নাগালে, তারই মধ্যে ঘটেছে এই ঘটনা। ফলেই একরকম চিন্তায় পড়েছেন শুই তারকা। প্রশ্ন উঠছে, প্রশাসনকে ঘিরে। তাঁদের তৎপরতা এবং পদক্ষেপ নিয়েও 'থ' জিতু এবং নবনীতা। রীতিমতো শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছে নবনীতার।
ক্ষোভ উগড়ে দিলেন জিতু। সোশ্যাল মিডিয়ায় বললেন, "একজন মেয়ের সঙ্গে যে আচরণ পুলিশ প্রশাসন করল, আমার কোনও কিছু বলার নেই। আমাদের গাড়িকে দেখে পুলিশ রীতিমতো ধমকে ওঠেন কোথায় ভেঙেছে বলে"...নবনীতা বলেন, "বাইরে ওরা থ্রেট করছে। আর পুলিশ ওদেরই সাহায্য করছে? আমাদের গাড়ি সিজ করার কথা বলছে"।
গতকাল ঠিক এরকমই সমস্যায় পড়েছিলেন উস্তাদ রশিদ খান। তিনিও থানার দ্বারস্থ হলেও আশানুরূপ সাড়া পান নি। পরিবারের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করে উস্তাদ জ্বীর স্ত্রী জানিয়েছিলেন, আদালতে যাবেন তিনি। ওপরমহলের পুলিশ কর্মকর্তাদের থেকেও কোনও সাহায্য পাননি বলেই জানা গেছে।