গতকাল রাতেই নিমতা ঘটনার আপডেট দিয়েছেন নবনীতা দাস। থানার সামনে দাঁড়িয়ে রেপথ্রেট এবং ডেথ থ্রেট পাওয়ার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন। ব্যারাকপুরের সহকারী পুলিশ কমিশনারের তরফে প্রেস কনফারেন্স করে জানানো হয়েছিল বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে। তবে গতকাল রাতেই ছাড়া পেয়েছেন অভিযুক্তরা।
নবনীতা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, চার অভিযুক্ত যাদের আদালতে পেশ করা হয়েছিল তাঁরা ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন। আর বাকি যে রইল পরশুরাম বাবু, আপনার আর চিন্তা কি, আপনি তো পুলিশ। প্রথম দিন থেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত ASI এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন জিতু নবনীতা। তিনিই দায়িত্ব নিয়ে অভিযুক্তদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন একথাও জানিয়েছিলেন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন নবনীতা। তবে গতকালের পোস্টের পরেই এক জনৈক ব্যক্তির মন্তব্য যেন আগুনে ঘি ঢালার মত কাজ করেছে।
আরও পড়ুন [ ‘মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে নবনীতা’, হেনস্থা কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ জিতু কমল ]
আজ বেশ কিছুদিন ধারাবাহিকে কাজ করছেন না নবনীতা। এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, আপনাকে সিরিয়ালে দেখা যায় না কেন এখন? সেই কারণেই কি এধরনের পাবলিসিটি পাওয়ার চেষ্টা করছেন? কোনও লাভ নেই বুঝলেন তো! অভিনেত্রীর নজর এড়ায়নি এহেন মন্তব্য। তাও নিজেকে শান্ত রেখে বললেন, পাবলিসিটি? ভাল থাকবেন! আপনার বাড়ির কেউ যেন এই সমস্যায় না পড়েন। যদিও তারকা দম্পতির বিপদে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন অনেকেই। রীতিমতো ধুয়ে দিলেন সেই ব্যক্তিকে।

পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে, তারপরেও তাঁরা নিরব দর্শক হয়ে বসে থেকেছে, এমনই অভিযোগ এনেছিলেন জিতু এবং নবনীতা। কেউ কেউ আবার এই কথাও বললেন, আপনি নিজেও তাহলে পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য এনার পোস্টে মন্তব্য করতে এসেছেন। আবার কেউ বললেন, আপনার পরিবারের সঙ্গে এহেন কিছু হলে দেখতে পারতেন তো? এদিকে, এক সংবাদমাধ্যমে জিতু জানিয়েছেন, আদালত সর্বোচ্চ! তাঁরা যদি জামিন দিয়ে থাকেন তবে আর কি?
এককথায়, পুলিশ প্রশাসনের ওপর রেগে আগুন তিনি। থানার এএসআই পরশুরাম বাবুর প্রসঙ্গ আসতেই বললেন, “উনাকে নিরব দর্শক বললেও কম বলা হবে। কারণ, যারা মেইন কালপ্রিট তাদেরকে উনি বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তাহলে উনিই যদি এই কাজ করেন আর কি বলার আছে। এখানেই তিনি থেমে যাননি। বললেন, গাড়ির সব ছবি তোলা হয়েছে। শুনছি আমাদেরকেও নাকি কেস দেওয়া হবে। এখন কোনদিকে কীভাবে কেস দেওয়া হয় সেটার জন্য বসে আছি”।