জিয়া খান মৃত্যু রহস্যের ধোঁয়াশা আজ পরিষ্কার। অভিযুক্ত সুরজ পাঞ্চোলিকে বেকসুর খালাস করল স্পেশ্যাল CBI কোর্ট। ২০১৩ সালে আত্মহত্যা করেন জিয়া খান। তখন সুরজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও প্রেম।
বছর দশেক পর, প্রমাণের অভাবে অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যুতে সুরজ পাঞ্চোলির প্ররোচনা মূলক অপরাধ থেকে মুক্তি ঘটেছে। জিয়াকে পরোক্ষভাবে প্ররোচিত করেছিলেন তিনিই, অভিযোগ উঠেছিল এমনই। মুম্বাই স্পেশ্যাল সিবিআই কোর্টের বিচারক এস এস সৈয়দ বলেন, প্রমাণ না থাকলে আপনাকে কেউ দোষী সাব্যস্ত করতে পারে না। তাই আপনি বেকসুর।
তবে, জিয়ার মা রাবিয়া খানের দাবি, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ উঠে গেলেও তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাঁর মেয়ে নিজে থেকে মারা যায় নি। লিখিত যুক্তি দাখিল করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। বোম্বে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট সহ নানান স্তরে তিনি সুরজের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়েরের অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেন নি বলেই জানিয়েছিলেন রাবিয়া।
উল্লেখ্য, সুরজের আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল দাবি করেছেন, সিবিআই তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযুক্ত অপরাধ কিংবা তথ্যের হদিশ পায় নি। কোনও সাক্ষ্য একথা বলেন ও নি যে সুরজ জিয়াকে হত্যা করেছেন। পাঞ্চোলি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার পর জিয়া আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন বলেই দাবি সিবিআই এর।