Rudranil Ghosh For Jisshu Sengupta birthday: যীশু সেনগুপ্তর সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু, অভিনেতা যীশুর থেকে বেশি তিনি মানুষ যীশুকে আরও ভাল চেনেন। তাই তো তাঁর প্রসঙ্গে কথা উঠতেই তিনি বললেন... "আমাদের স্ট্রাগল জীবনের...
Rudranil Ghosh For Jisshu Sengupta birthday: যীশু সেনগুপ্তর সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু, অভিনেতা যীশুর থেকে বেশি তিনি মানুষ যীশুকে আরও ভাল চেনেন। তাই তো তাঁর প্রসঙ্গে কথা উঠতেই তিনি বললেন... "আমাদের স্ট্রাগল জীবনের...
Jisshu Sengupta Birthday-Rudranil Ghosh: ইন্ডাস্ট্রির বুকে অভিনয়ের বিভিন্ন শেড যদি কেউ দেখিয়ে থাকতে পারেন, তবে সেই মানুষটা যীশু সেনগুপ্ত। দীর্ঘ এতবছর মানুষের মনোরঞ্জন করছেন। শেষ কিছুবছর ধরে যেমন শুধু টলিপাড়া নয়, বরং তিনি কাজ করে আসছেন দক্ষিণী ছবিতেও। সেখানে, নিজেকে শ্রেষ্ঠ ভিলেন প্রমাণ করার পর, খাদান ছবিতেও প্রমাণ করলেন কেন তিনি অভিনয়ের এত রং জানেন...
Advertisment
একসময়, রোমান্টিক বাংলা ছবি হোক কিংবা কমেডি ছবি, যীশু সেনগুপ্ত নানা চরিত্রে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। টলিউডে তাঁর প্রথম জনপ্রিয় চরিত্র ছিল, চৈতন্য মহাপ্রভুর ভূমিকা। তারপর থেকে তাঁকে খুব একটা পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আর আজ, তাঁর জন্মদিনে সেই মানুষটির সঙ্গেই যোগাযোগ করেছিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা, যার সঙ্গে স্ট্রাগলের ইনিশিয়াল দিনগুলো কাটিয়েছিলেন যীশু। রুদ্রনীল ঘোষের কাছে যীশু সেনগুপ্তকে নিয়ে জানতে চাইলেই, সেদিনগুলোর কথা তিনি বলেন...
যীশু সেনগুপ্তর সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু, অভিনেতা যীশুর থেকে বেশি তিনি মানুষ যীশুকে আরও ভাল চেনেন। তাই তো তাঁর প্রসঙ্গে কথা উঠতেই তিনি বললেন... "আমাদের স্ট্রাগল জীবনের খুব খারাপ সময়ে, যে কজনের বাড়িতে আমি ভাত খেয়ে বড় হয়েছি, বা বলা উচিত বেঁচে থেকেছি, সেই মানুষদের অন্যতম যীশু সেনগুপ্ত। যীশুর মা আমাদের খুব যত্ন করতেন। আর সত্যি বলতে গেলে তখন আমি, যীশু আর ওর দিদি রাই - এই আমরা সবাই মিলে আড্ডা মারতাম, খাওয়াদাওয়া করতাম। তখন যীশু শ্রীচৈতন্য করে অনেকটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু, আমার কাজের সুযোগ হয়নি, আমি তখন কিছুই না। সেই সময় থেকে আমি যীশুকে চিনি।"
যীশুর সঙ্গে রুদ্র - ছবি/ ইনস্টাগ্রাম
Advertisment
যীশুর বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল রুদ্রর। নিজের বাড়ির মতোই সেখানে থাকতেন তিনি। অভিনেতা বললেন, "মাঝেমধ্যে এমন হতো, যে যীশুর বাড়িতে গিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়তাম। হয়তো ও পরে আসতো। তারপর, বিছানায় জায়গা পেত না। ওকে কষ্ট করে মেঝেতে ঘুমাতে হত বা সোফায়। আমি ওকে অনেক অত্যাচার করেছি।" কিন্তু বন্ধুকে নিয়ে বেশ অচেনা এবং অজানা কথা যেমন বললেন, তেমনই তাঁকে নিয়ে তারিফ করতেও ভুল হল না তাঁর। যীশুর এক সুন্দর গুণের প্রশংসা করলেন তিনি। তাঁর কথায়...
"ও যখন হিরো, তখন তো অনেক হিরো ছিল ইন্ডাস্ট্রিতে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে তাপস পাল, অনেকেই ছিলেন। সকলে সিনিয়র হিরো, তাঁর মধ্যে ও নবীন। সেই সময় যীশু কাউকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করত না। বা আমাকে ওকে ছাপিয়ে যেতে হবে, সেটা মনে করত না। খুব সহজভাবে অভিনয়টাকে দেখত। অনেকেই এমন আছেন, অভিনয়ের কথা বললেই এমন কিছু বলবেন, যাতে চার পাঁচটা মানে বই পরের দিন কিনে তাঁর অর্থ বুঝতে হবে। কিন্তু যীশু সেরকম ছিল না। যীশু খুব ভালবাসার সঙ্গে অভিনয় দেখত। আমাদের দেখা হলেই, নানা বিষয়ে আড্ডা চলে। যীশু দারুণ মানুষ আমার কাছে। ও নিজের মতো চলেছে। কাউকে ছাপিয়ে যাওয়ার দাবিদাওয়া ওর ছিল না। নিজের কাজটা খুব সিরিয়াসলি দেখেছে। সিরিয়াস মানে কিন্তু দাঁত মুখ চোয়াল শক্ত করে কেউ সিরিয়াস নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে এমন না।"
যীশুর জীবন যেন সুন্দর হয়, সেকথাও তিনি জানালেন। একজন মানুষ নিজে দায়িত্বেই সবটা সুন্দর করেন বলে তাঁর বিশ্বাস। কিন্তু, বন্ধুর সবথেকে প্রিয় কাজ কোনটা তাঁর কাছে? রুদ্রনীল বললেন, "আমার কাছে ওর সবথেকে প্রিয় কাজ, সন্ন্যাসী রাজা। রাজকাহিনীর কবীরকে আমি কেন আমি এগিয়ে রাখলাম না? সন্ন্যাসী রাজায় যীশু একজন রাজা। আমি আর অনির্বাণ সেখানে অভিনয় করেছি নেতিবাচক ভূমিকায়। প্রবল ঠান্ডায়, বরফে সেখানে শুধু একটা কৌপিন পড়ে, তারপর সেখান থেকে মরুভূমি আছে। ওরকম পরিস্থিতিতে এত নিদারুণ অভিনয় করে যাওয়া সহজ না। যত ভালই আমি অভিনয় করি না কেন, চারপাশের পরিবেশ যদি ভাল না হয়, তাহলে আমার ডায়লগ বলতে অসুবিধা হবে। সেক্ষেত্রে নিজেকে কন্ট্রোলে রেখে যদি কেউ পারফর্ম করতে পারে, প্রকৃতির সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে সেই অসামান্য একটা অভিনয় ডেলিভার করতে পারে, তবে তাঁকে হ্যাটস অফ।"