Jisshu Sengupta: নুন আনতে পান্তা ফুরত, অর্থের খাতিরে এই কাজ করতে বাধ্য হন যীশু, তাঁর জীবন কাহিনী শুনলে...

“মহাপ্রভু” তাকে পরিচিতি দেয়; তিনি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে আসেন, কলকাতার ‘হৃত্বিক রোশন’ হিসেবে পরিচিত হন। আর্থিকভাবে পরিবার ধীরে ধীরে উন্নতি করতে থাকে।

“মহাপ্রভু” তাকে পরিচিতি দেয়; তিনি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে আসেন, কলকাতার ‘হৃত্বিক রোশন’ হিসেবে পরিচিত হন। আর্থিকভাবে পরিবার ধীরে ধীরে উন্নতি করতে থাকে।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
jisshu

যীশুকে চেনেন?

প্রতিটি অভিনেতার কেরিয়ারই উত্থান-পতনে ভরা। নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সাধারণ ঘটনা। যদিও ভিতরে লুকানো আগুন জ্বলতে থাকে, তবুও এই শিল্পের অনেকেই কখনও পুরোপুরি সন্তুষ্ট থাকেন না। তবে যীশু সেনগুপ্ত নিজের জীবনের সব ভালো, খারাপ ও কুৎসিত মুহূর্ত দেখে নিজেকে ধন্য মনে করেন। তিনি বলেন, "যদি আগামীকাল আমার মৃত্যু হয়, আমার কোনও আফসোস থাকবে না।"

Advertisment

যীশু, যিনি নিজেকে ঈশ্বরের আশীর্বাদপ্রাপ্ত সন্তান মনে করেন, ১৯৭৭ সালে, থিয়েটার অভিনেতা উজ্জ্বল সেনগুপ্তের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সাধারণ পরিবার থেকে আসা যীশু এবং তার পরিবার বহু কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন। এমন সময় ছিল যখন খাবার ছিল না, বিদ্যুৎ ছিল না। তবে টিভিতে “মহাপ্রভু” শো দিয়ে অভিনয় শুরু করার পর ধীরে ধীরে জীবন বদলাতে থাকে।

১৯৯৮ সালে যীশু প্রথমবার শো-সেটে পা রাখেন। তাকে প্রতিদিন মাত্র ২৫০ টাকা বেতন দেওয়া হত, যা সেই সময়ে তাঁর অনেক কাজে আসে। SCREEN-এর সঙ্গে একান্ত আলাপে যীশু বলেন, “অনেকে সংগ্রামের কথা বলে, কিন্তু আমার কখনও তা মনে হয়নি। আমি কাজ করছিলাম, অর্থ উপার্জন করছিলাম। আমাদের পরিবার সাধারণ ছিল, তাই টাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা খুব খুশি ছিলাম, যদিও জীবন খুব সহজ ছিল।”

Advertisment

যীশু কখনোই অভিনেতা হতে চাননি; তার মা বলেছিলেন, পরিবারের একজনই যথেষ্ট। ১৮ বছর বয়সে তিনি ক্রিকেট খেলতেন, ড্রাম বাজাতেন এবং সন্ধ্যায় পকেট মানি রোজগার করতেন। টিভি শো “মহাপ্রভু”-তে একটি চরিত্রে অভিনয় করার পর তাঁর জীবন ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। অডিশনটি ছিল ভয়াবহ। প্রায় কাঁদতে কাঁদতে চলে যেতে চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেই চরিত্রই তাকে সাফল্যের পথ দেখায়।

প্রথম কাজের মূল প্রেরণা ছিল অর্থ। তিনি বলেন, "প্রতিদিন ২৫০ টাকা আমার জন্য সেসময় বিশাল ছিল। তবে এটি একটি ডেইলি সোপ, তাই আমাকে ক্রিকেট ও ড্রাম ছেড়ে দিতে হয়েছিল। অর্থাৎ বাধ্য হয়েছিলাম।" যারা যীশুকে চেনেন, তাঁরা জানেন তিনি কতটা ভাল ক্রিকেট খেলেন। এমনকি দারুণ ড্রাম পর্যন্ত বাজান তিনি। বর্তমানে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে বাংলা দলের ক্যাপ্টেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে ভাইজান সলমনের কথায়। কিন্তু, মহাপ্রভু ধারাবাহিকে অভিনয় করার পর, ভাগ্যক্রমে অনুষ্ঠানটি সুপারহিট হয় এবং যীশুর কথায়, "আমি বাংলার টিভির প্রথম সুপারস্টার হয়ে যাই।" 

“মহাপ্রভু” তাকে পরিচিতি দেয়; তিনি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে আসেন, কলকাতার ‘হৃত্বিক রোশন’ হিসেবে পরিচিত হন। আর্থিকভাবে পরিবার ধীরে ধীরে উন্নতি করতে থাকে। তিনি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “প্রথমে পেলাম একটি ফোন। ফ্রিজ ছিল ভাঙা, স্ট্যান্ড ভেঙে গেছিল। পরে ধীরে ধীরে সব ঠিক হলো-  ঘর রঙ হলো, বাথরুম আধুনিক হলো।”

Entertainment News Entertainment News Today jisshu sengupta