কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের ষষ্ঠ দিনে সাংবাদিক নিগ্রহের অভিযোগ উঠল উৎসবেরই কয়েকজন ডেলিগেটের বিরুদ্ধে। উৎসবের মূল প্রেক্ষাগৃহ নন্দন ১-এ বিকেল ৫টার শোয়ের ঠিক আগেই ঘটনাটি ঘটে। দুই সাংবাদিকের সঙ্গে একজন ডেলিগেটের উচ্চগ্রামে বচসা হয় শো শুরু হওয়ার ঠিক আগে। ওই সময় সাংবাদিকদের শারীরিক আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। শো শেষ হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তদের সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
নন্দন ১ প্রেক্ষাগৃহের শো-গুলি ডেলিগেট, অতিথি ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জন্য সংরক্ষিত। ১৪ নভেম্বর বিকেলে প্রেক্ষাগৃহে শো শুরু হওয়ার মুহূর্তে দুজন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ও কয়েকজন ডেলিগেটদের মধ্যে সিট রিজার্ভ করা নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। উৎসবের এই শোগুলিতে স্বাভাবিকভাবেই কোনও সিট নম্বর উল্লেখ করার নিয়ম নেই। 'ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভড' ভিত্তিতেই সবাই সিটে বসেন।
আরও পড়ুন, রিপোর্টারের ডায়েরি: পাল্টে যাওয়া উৎসবে সেলফি বেশি, ছবি দেখার ভিড় কম
এক্ষেত্রেও তেমনই জনৈক ডেলিগেট হেলমেট রেখে সিট রিজার্ভ করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। ওই সময়েই সাংবাদিকরা এসে প্রতিবাদ করায় দুপক্ষের বচসা শুরু হয়। এর পরে সমস্যার সমাধান তো হয়ই না, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র প্রতিনিধির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ডেলিগেট এবং তাঁর সহযোগীরা সাংবাদিকদের শারীরিকভাবে আঘাত করেন। বিষয়টি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে সঙ্গে সঙ্গেই উৎসব কমিটিকে সতর্ক করেন ওই দুই সাংবাদিক এবং উপস্থিত অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা।
সাংবাদিকদের নিগ্রহের প্রতিবাদে তাঁরা প্রয়োজনে উৎসবের সাংবাদিক সম্মেলন বয়কট করারও সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনাস্থলে অবিলম্বে পৌঁছয় নন্দনের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ। শো শেষ হওয়ার পরে অভিযুক্তদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নন্দন চত্বর থেকে। এই ঘটনার পরেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
আরও পড়ুন, বিরল ভাষার ছবির স্ক্রিনিংয়ে অভিনবত্ব চলচ্চিত্র উৎসবে
বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, যে দুই ডেলিগেটের সঙ্গে এই বচসা বাঁধে, তাঁদের মধ্যে একজন সত্যজিৎ রায় ফিল্ম ইন্সটিটিউটের প্রাক্তন ছাত্র, যিনি বর্তমানেও ওই চলচ্চিত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই যুক্ত। কিন্তু এই ঘটনায় দেরীতে হলেও পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে পুরো ঘটনায় সাংবাদিকের কথা শুনে বিষয়টির নিষ্পত্তি করার সম্পূর্ণ চেষ্টা করেছেন কিফ চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী।