Debadrita Basu and Bidesh Bose: টেলিপর্দায় যখন প্রথম ডেবিউ করেন দেবাদৃতা বসু, তখনও আঠেরোয় পা দেননি তিনি। অথচ তাঁর অভিনয় দেখে তা একেবারেই বোঝার উপায় ছিল না। আবার ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী জয়ী একজন প্রতিভাবান ফুটবলার। প্রথমদিকে এবং পরেও চিত্রনাট্যের বেশ কিছুটা অংশ জুড়ে ছিল জয়ী-র ম্য়াচ খেলার দৃশ্য। ছিল বলাটা পুরোপুরি ঠিক নয়। গল্পের মোড় অনুযায়ী, জয়ী-র খেলার সিকোয়েন্সগুলি প্রয়োজন মতোই ফিরে ফিরে আসে। সেসব দেখতে দেখতে দর্শক তো বটেই, টেলিজগতের অনেকেরই প্রশ্ন ছিল যে কীভাবে পেশাদার ফুটবলারদের মতোই দিব্যি সবকিছু সামলে নিচ্ছেন এই নবীন অভিনেত্রী? প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল বিখ্য়াত ফুটবলার বিদেশ বসুর কাছে।
Bidesh Bose in action in a derby game. pic.twitter.com/uuNIukt85r
— Mohun Bagan (@Mohun_Bagan) September 20, 2015
২৪ এপ্রিল জি বাংলা ফুটবল লিগ-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ বসু। জেলায় জেলায় অনুর্ধ্ব ১৯ ফুটবল প্রতিভাদের লালন করাই এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য়। জি বাংলা-র এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানালেন বিদেশ বসু। পাশাপাশি মোহনবাগানের সঙ্গে জি বাংলা-র সুসম্পর্কের কথাও উল্লেখ করলেন। সেই প্রসঙ্গেই আরও একটি বিষয় উল্লেখ করলেন যা অনেকেরই অজানা। মোহনবাগানের প্রধান কর্মকর্তা বললেন, ''জয়ী ধারাবাহিকের নায়িকা, দেবাদৃতা আমার পরিবারেরই সদস্য। আমার এক দাদার নাতনি, আমারও নাতনি।''
আরও পড়ুন: ”তোমাকে কেন বিয়ে করব, বাচ্চা মেয়ে”, নবনীতাকে বলেছিলেন জিতু
জয়ী ধারাবাহিকের জন্য দেবাদৃতা তাঁর কাছে কোনও প্রশিক্ষণ নেননি, সেই কথাও জানালেন তিনি। তবে দাদুর কাছে প্রশিক্ষণ না নিয়েও দাদুর মুখ উজ্জ্বল করেছেন দেবাদৃতা এবং নাতনিকে নিয়ে যে বেশ উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন মোহনবাগান ক্য়াপ্টেন সেটা তাঁর কথাবার্তাতেই বেশ স্পষ্ট। প্রত্যেক পরিবারেরই কিছু না কিছু লেগাসি থাকে-- কোথাও গান, কোথাও সাহিত্য়, কোথাও আবার খেলাধূলা। বিদেশ বসু মানেই বাংলার ফুটবলের এক বিরাট ঐতিহ্য যা প্রত্যক্ষে না হলেও পরোক্ষে বহন করছেন দেবাদৃতা। নিঃসন্দেহে তা কোথাও না কোথাও সুপ্ত ছিল তাঁর মধ্যে। জয়ী-র চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তার বিচ্ছুরণ ঘটেছে।