কৃষকদের কাছে লড়াইয়ের ভাষা শিখতে 'লং মার্চ' বাংলার নাট্যকর্মী জয়রাজের
বাংলায় ধুকতে থাকা রাজনৈতিক দলের কাছে জয়রাজ যেন নিমিষেই ফিনিক্স পাখি হয়ে উঠেছেন। তাই তো গর্ব অনুভব করে সিনেপরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় প্রকাশ্যে বলেছেন, "আমি পারিনি, কিন্তু জয়রাজ তো হাঁটছে।"
রাজধানীতে হাজার হাজার ক্ষুব্ধ কৃষক এই মূহূর্তে আন্দোলনরত। ট্রাক্টর, ট্রলিতে করে শেষ সম্বলটুকু নিয়ে তাঁরা আজ রাস্তায় একজোট হয়েছে সদ্য পাশ হওয়া কৃষি বিলের বিরুদ্ধে। আরও আসছে শ’য়ে শ’য়ে। কী করোনা? কোথায় শীত? পেটের দায়, আগামী প্রজন্মের চিন্তায় তুলেছেন 'সুষ্ঠ' প্রতিবাদী সুর। অন্নদাতাদের এমন বিক্ষোভ দেখছে গোটা দেশ। কেউ যখন নীরব, আবার কেউ বা 'সোশ্যালে সরব', তখন বিক্ষোভরত কৃষকদের পাশে থাকতে নাট্যকর্মী জয়রাজ ভট্টাচার্য (Joyraj Bhattacharya) ইতিমধ্যেই বাংলা থেকে পায়ে হেঁটে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। গন্তব্য সিংঘু সীমান্ত। পাশে বাম শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। বাংলায় ধুকতে থাকা রাজনৈতিক দলের কাছে জয়রাজ যেন নিমিষেই ফিনিক্স পাখি হয়ে উঠেছেন। তাই তো গর্ব অনুভব করে সিনেপরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleswar Mukherjee) প্রকাশ্যে বলেছেন, "আমি পারিনি, কিন্তু জয়রাজ তো হাঁটছে।" এমন হাজারও মানুষের ভরসা নিয়েই দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তের পথে বাংলার নাট্যকর্মী। চিনছে, দেখছে গোটা দেশ।
Advertisment
জয়রাজ ভট্টাচার্যের কথায়, "কৃষকদের জন্য ভাবনাচিন্তা করার আমার কোনও অধিকারই নেই। আমাদের সৌভাগ্য যে ভারতবর্ষে কয়েক হাজার বছর ধরে কৃষকরা আমাদের জন্য ভাবেন। ওঁরা ভাবেন বলেই এই সভ্যতা টিকে থাকে। তাঁরা আমাদের খাওয়ান বলে আমাদের দুমুঠো অন্ন জোটে। তাঁরা যে ফসলটা ফলান, তাতে তাঁদের আর অধিকার থাকছে না, এই লড়াইটা তাঁরা শুরু করেছেন, তাঁরা রাস্তা দেখিয়েছেন। আমরা শুধুমাত্র সংহতি জানাতে যাচ্ছি। তাঁদেরকে শেখানোর মতো আমাদের কাছে কিছু নেই। তাঁদের কাছে আমরা শিখতে যাচ্ছি। "
ছবি- শশী ঘোষ (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)
রোজ ৩০ কিলোমিটার করে হাঁটার পরিকল্পনা রয়েছে জয়রাজের। সেক্ষেত্রে সূর্যের আলো থাকতে থাকতে তিনি পায়ে হেঁটে ৩০ কিলোমিটার পথ পেরবেন। তারপর রাতে সামান্য রাস্তা এগিয়ে যাবেন ট্রেনে করে। তারপর আবার সকালে হাঁটা শুরু হবে। এভাবেই সিংঘু সীমান্তে কৃষক আন্দোলনে সংহতি জানাতে যাচ্ছেন তিনি।