অনেক তারকাই বিয়ে করেছেন প্রাইভেট সেরিমিনতে এবং অনেক পরে ছবি এসেছে সংবাদমাধ্যমে। নব্বইয়ে সংবাদমাধ্যম বলতে মূলত ছিল সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন। সেই সময়ে তাই বিয়ের কথা গোপন রাখা অপেক্ষাকৃত সহজ ছিল। স্বামী জয় মেহতার সঙ্গে বিয়ের কথাটি তাই দীর্ঘদিন গোপন রাখতে পেরেছিলেন জুহি। সম্প্রতি রাজীব মসন্দ-এর চ্যাট শো-তে এসে অভিনেত্রী জানান যে তিনি এমনটা করেছিলেন কাজ হারানোর ভয়ে।
আজকের বলিউড আর ২৫ বছর আগেকার বলিউডের মধ্যে অনেক পার্থক্য। সেই সময়ে সাধারণ ভাবেই মনে করা হতো যে কোনও অভিনেত্রীর বিয়ে হয়ে যাওয়া মানেই তাঁকে আর নায়িকার ভূমিকায় দর্শক দেখতে পছন্দ করবেন না। এই কারণেই বহু নায়িকা প্রায় তিরিশের কোঠার মাঝামাঝি পৌঁছে বিয়ে করেছেন।
আরও পড়ুন: করোনা সতর্কতায় বন্ধ টালিগঞ্জের সমস্ত শুটিং
জুহি চাওলা যখন ১৯৯৫ সালে জয় মেহতাকে বিয়ে করেন, তখন তাঁর কেরিয়ারের পিক টাইম বলা যায়। ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান, ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় ডর, হাম হ্যায় রাহি প্যার কে। আবার ১৯৯৪ সালে মুক্তি পায় আন্দাজ আপনা আপনা। নব্বইয়ের সবচেয়ে হিট নায়িকা তাই ভয় পেয়েছিলেন যে হয়তো এই সময়ে বিয়ের কথা সামনে এলে আর নায়িকার চরিত্র পাবেন না।
বর্তমানে জয়-জুহি, জাহ্নবী ও অর্জুনের সঙ্গে।
কিন্তু বিয়েটাও আর বেশিদিন স্থগিত রাখতে চাননি জুহি। রাজীব মসন্দের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় জুহি জানিয়েছেন যে অভিনয়ে আসার অনেক আগেই জয়ের সঙ্গে তাঁর আলাপ। তার পর থেকেই জয় প্রায় তাঁর ছায়াসঙ্গী হয়ে গিয়েছিলেন। বিয়ের কথা গোপন রেখে কিন্তু নায়িকার কেরিয়ার রীতিমতো তিরবেগেই ছুটছিল। লোফার, বন্দিশ, দরার, ডুপ্লিকেট বা অর্জুন পণ্ডিত-- এই সব ছবিই কিন্তু মুক্তি পেয়েছিল নায়িকার বিয়ের পরেই।
মোটামুটি মিলেনিয়ামের একটু আগেই প্রকাশ্যে আসে তাঁর বিবাহিত জীবনের কথা। মিলেনিয়ামের পরে, বিশেষ করে মাতৃত্বকালীন বিরতির পরে মূলত চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবেই তাঁকে দেখা গিয়েছে ছবিতে। তবে তখন জুহি পৌঁছে গিয়েছেন মধ্যযৌবনে। তাই তখন আর বিয়ে-মাতৃত্ব লুকিয়ে লাভ কিছু ছিল না।
জয় ও জুহি-র দুই ছেলেমেয়ে-- জাহ্নবী ও অর্জুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন