বোমা বিস্ফোরণে যেত প্রাণ, মাত্র ১৩টাকা উপার্জনেই এই অভিনেতা... চেনেন তাঁকে?

১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত, তিনি জুনিয়র শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। পরে জুনিয়র আর্টিস্ট কো-অর্ডিনেটরের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখানে সহকারী পরিচালকের নির্দেশ মতো ...

১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত, তিনি জুনিয়র শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। পরে জুনিয়র আর্টিস্ট কো-অর্ডিনেটরের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখানে সহকারী পরিচালকের নির্দেশ মতো ...

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
sita

কে এই অভিনেতা?

সিনেমা শিল্পকে বাইরে থেকে দেখলে তা যতটা রঙিন মনে হয়, বাস্তবে তার ভেতরে রয়েছে অসংখ্য নিঃশব্দ পরিশ্রমী মানুষ, যাদের ছাড়া কোনও দৃশ্যই সম্পূর্ণ হয় না। এই নেপথ্যের নায়কেরা হলেন জুনিয়র শিল্পী। যাদের মুখ আমরা প্রায়ই দেখি, কিন্তু নাম জানি না। তারা পর্দায় জনতার ভিড় তৈরি করেন, নায়ক-নায়িকার প্রেমের দৃশ্যে পটভূমি ভরিয়ে দেন, আর অ্যাকশন দৃশ্যে বাস্তবের ছোঁয়া আনেন। অর্থাৎ, তাঁরাই এক কাল্পনিক দুনিয়াকে বাস্তব রূপ দেন।

Advertisment

সীতারাম কদম, এমনই একজন প্রবীণ জুনিয়র শিল্পী, লেহরেন রেট্রো–র এক পুরনো সাক্ষাৎকারে শেয়ার করেছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতার গল্প। তিনি জানান, ১৯৭০-এর দশকে প্রতিদিনের পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ১৩ টাকা। পরে তা বেড়ে হয় ১০০০–১৩০০ টাকা। তিনি বলেন, এই পেশা তাঁকে শুধু রোজগারই দেয়নি, জীবনযাপন ও সম্মানও এনে দিয়েছে।

Zubeen Garg Death: ভরসার মানুষদের হাতেই বিশ্বাসঘাতকতা? জুবিন গর্গ কেসে চাঞ্চল্যকর মোড়

Advertisment

সীতারামের কথায়, “আমি ১৯৭৪ সালে সমঝোতা ছবিতে কাজ শুরু করি। তখন আমি ১৩ টাকা পেতাম, এখন ১০০০–১৩০০ টাকা পাই। এটা আমার জন্য অনেক কিছু। এই পেশার কারণেই আমি সংসার করেছি, সন্তান বড় করেছি, ওরা এখন শিক্ষিত।” তিনি আরও বলেন, “আমার মা প্রতিদিন ১.৫ টাকা আর বাবা ২.৫ টাকা উপার্জন করতেন। আমি বেশি পড়াশোনা করতে পারিনি। তাই স্থির আয়ের আশাতেই, এই পেশায় যোগ দিই।”

১৯৭৪ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত, তিনি জুনিয়র শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। পরে জুনিয়র আর্টিস্ট কো-অর্ডিনেটরের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখানে সহকারী পরিচালকের নির্দেশ মতো ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাকশন সাজাতে হত। এই সময়ই তিনি কোডাকের একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয়ের সুযোগ পান। যা পরবর্তীতে বিখ্যাত ফেভিকল বিজ্ঞাপনে পরিণত হয়।   

“ফেভিকলের ওই বিজ্ঞাপনটা থেকেই আমাকে সবাই চিনেছে। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই আমার নাম জানেন না, কিন্তু বিজ্ঞাপনটা দেখে চিনে ফেলেন,” হেসে বলেছিলেন সীতারাম। তিনি স্মরণ করেন, বারাণসীতে 'বাস এতনা সা খোয়াব হ্যায়' ছবির শুটিংয়ের সময় অনেকেই তাঁকে ঘিরে ফেলেছিলেন, “আমাকে দেখে মানুষ চিৎকার করছিল, তখন নিজেকে সত্যিই একজন বিখ্যাত মানুষ মনে হয়েছিল।”

১৯৯২ সালে গুরু দত্তের ছেলের পরিচালনায় খুলে-আম ছবির সেটে ঘটে তাঁর জীবনের ভয়াবহ এক ঘটনা। "অ্যাকশন দৃশ্যে বোমা বসানো হয়েছিল, কিন্তু আমি জানতাম না আমার একদম পাশেই একটা বোমা রয়েছে। যদি আমি তখন দৌড় না দিতাম, তাহলে হয়তো আজ বেঁচে থাকতাম না।" 

bollywood Bollywood Actor Entertainment News Today