শালিনী ল্যাঙ্গার
Jurassic World Fallen Kingdom movie cast: ক্রিস প্র্যাট, ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড, রেফ স্পল, জেফ গোল্ডব্লাম, জেমস ক্রমওয়েল, ইসাবেলা সেরমন
Jurassic World Fallen Kingdom movie director: জে এ বায়োনা
Jurassic World Fallen Kingdom movie rating: ৩.৫/৫
জুরাসিক ওয়ার্ল্ড মানেই সেই চেনা শিহরন, স্ক্রিন জুড়ে সেই চেনা দাপট ডায়নোসোরদের। ডায়নোসোরদের যুগ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে কবেই, কিন্তু তাদের কাহিনী যতবারই পর্দায় এসেছে, হলমুখো হয়েছেন দর্শক। কারণ একটাই, ডায়নোসোরকে চাক্ষুষ করার প্রবল ইচ্ছা। মানুষ-জন্তুর এই অদ্ভুত সমীকরণ বরাবরই ধরা পড়েছে জুরাসিক সিরিজের ছবিগুলিতে। তাই ২০১৫ সালের 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের' সিক্যুয়েল 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ফলেন কিংডম' স্বভাবতই নজর কাড়ল।
হলিউডের বড়পর্দায় ভয়, আতঙ্ক প্রদর্শনে তিনি যে সিদ্ধহস্ত তা তাঁর 'দ্য অরফানেজ' এবং 'অ্যা মনস্টার কলস' দেখলেই বোঝা যাবে। পরিচালকের নাম জে এ বায়োনা, এবং তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই থ্রিলের আমদানি করেছেন 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ডেও'। ধ্বংসপ্রাপ্ত এক প্রদেশ, সেখানে টি-রেক্স ইত্যাদি। আক্ষরিক অর্থেই তাঁর হাত ধরে ঘরে ফিরেছে ডায়নোসোরেরা।
দৈত্যাকার জন্তুগুলি ইসলা নুবলা নামক দ্বীপে পরিত্যক্ত, নিয়ন্ত্রনহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে, সৌজন্যে 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের' সেই বিধ্বংসী, অসফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কিন্তু তাদের রোজকার জীবনে নেমে এসেছে ঘোর বিপদের ছায়া, কারন দ্বীপে অবস্থিত একটি ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি অকস্মাৎ নড়েচড়ে উঠেছে। ছবির একটি মর্মভেদী দৃশ্যে আমরা দেখি অগ্ন্যুৎপাতে ভস্মীভূত হতে থাকা তার দুনিয়ার শোকে তৃণভোজী এক নিরীহ ডায়নোসোরের কাতর আর্তনাদ। যাঁরা এ ব্যাপারে কিঞ্চিৎ ওয়াকিবহাল তাঁরা জানেন, পৃথিবীর অনেক নৃতত্ববিদের মতে, আনুমানিক ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে ডায়নোসোরেরা বিলুপ্ত হয়ে যায় এক ভয়াবহ উল্কাপাতের ফলে। ইসলা নুবলায় ডায়নোসোরদের এই মিনি পৃথিবীতে অগ্নিস্ফুরণ যেন অতীতের সেই ধ্বংসলীলার মর্মান্তিক পুনরাবৃত্তি।
আরও পড়ুন: MOVIE REVIEW: ‘উমা’র অকালবোধনে আবেগের চোরাস্রোত
ছবির শেষার্ধে হিংস্রতার ওপর জোর দিয়েছেন পরিচালক, যদিও তা নিপুণ হাতে সামলেছেনও বটে। ছবির সম্পাদনা আরও আঁটসাঁট হতে পারত। বড্ড দীর্ঘায়িত লেগেছে ছবিটি, একটু তাড়াতাড়ি শেষ হলে মন্দ হত না। তবে সিক্যুয়েল ছবি হিসেবে শেষাংশে চমক রয়েছে। অভিনয়ের ক্ষেত্রে প্র্যাটের স্ক্রিন প্রেজেন্স চোখ টেনেছে। তবে শিশু শিল্পী ইসাবেলা সেরমনের দিকেই মনে হয় সবাই তাকিয়ে থাকবে।
শেষ পাতে বলি, ডায়নোসোরের প্রতি ছোটবেলা থেকেই দুর্বলতা রয়েছে আমাদের। আর আপনি হয়ত এখন আর ছোট নন, তাতে কী? এই দুর্বলতা বোধহয় বয়স বাড়লেও যায় না। বরং দেরি না করে, নিজের ছোটবেলা রিফ্রেশ করতে দেখে আসতেই পারেন 'জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ফলেন কিংডম'। অবশ্য কোন বাচ্চার হাত ধরে গেলে আপনার মজা হয়ত দ্বিগুণ হবে।