"দল ছাড়িলাম চুরি করি, আবার লইব পকেট ভরি, বিজেপি ধরি...", 'দল-বদলু' নেতা-মন্ত্রীদের উদ্দেশে গান বেঁধে তাঁদের মোক্ষম জবাব উপহার দিলেন কবীর সুমন।
দল-বদলের পালা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি বর্তমানে সরগরম। পাখির চোখ এখন একুশের নির্বাচনের দিকে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ছেড়ে অনেক নেতা-মন্ত্রীরাই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। অতঃপর আগামী নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রচারে গেরুয়া শিবিরের আস্ফালনও কম নয়! নির্বাচনী প্রচার আপাতত তুঙ্গে। ফ্লেক্স-ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে বাংলার অলি-গলি। ক্ষমতার লড়াই কে টিকে থাকবে? শেষ অবধি সেটাই দেখার। তবে, বাংলার জমিতে ঘাসফুল আর পদ্ম ফোঁটার লড়াইয়ে যে-ই এগিয়ে থাকুক না কেন, রাজ্য-রাজনীতি যে ইতিমধ্যেই দল-বদলের পালা নিয়ে বেশ সরগরম, তা বলাই বাহুল্য। আর এর মাঝেই দল বদল করা সেসব নেতাদের বিঁধে গান বাঁধলেন গায়ক কবীর সুমন।
'জাগরনে যায় বিভাবরী' গানটিকে নিজের কথামতো সাজিয়ে গান বেঁধেছেন সুমন। বলা ভাল, রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্যারোডি করেছেন। যে গান স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফেসবুকেও পোস্ট করেছেন নিজেই। কারও নাম উল্লেখ না করেই তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দল বদল করে বিজেপিতে যোগদানকারীদের। গানের কথাতেই 'দল-বদল' করা নেতা-মন্ত্রীদের উদ্দেশে ঝরে পড়েছে তীব্র শ্লেষ।
সেই গান নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে কবীর সুমন লিখেছেন, কেউ শুনুক না শুনুক আমি বাংলা খেয়াল তৈরি করে গেয়ে যাচ্ছি। আজও তৈরি করেছি এক নতুন রাগে নতুন "এক বন্দিশ। জয় বাংলা ভাষা, বাংলা খেয়াল।" উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে গান বাঁধায় কবীর সুমনের জুড়ি মেলা ভার। জঙ্গলমহল নিয়ে 'ছত্রধরের গান' থেকে শুরু করে সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে 'যা গেছে তা যাক'- এর মতো তাঁর গানগুলি একাধিকবার রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলেছে। আবার কখনও বা দলে থেকে এমন গান বাঁধায় শাসক দলের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এহেন কবীর সুমনের কটাক্ষের মুখে এবার 'দলবদলকারী' রাজনীতিবিদরা।