অপমান যতটা জোরালো হবে, ক্ষমা চাওয়াটাও ততটাই ভীষণ হওয়া প্রয়োজন। মূলত এই বার্তাই প্রকাশ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে সাংসদ-অভিনেতা-প্রযোজক দেব এবং পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়কে দিলেন বাংলা গানের কিংবদন্তি এবং তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমন। এমনকী 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী' ছবির সঙ্গীত পরিচালনার জন্য বকেয়া টাকাও মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেন পোস্টে। যদিও এই সংক্রান্ত সমস্ত পোস্ট বর্তমানে ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দিয়েছেন তিনি।
বিতর্কে চাপা পড়ে গেল সুখের সেই দিন
ঘটনার সূত্রপাত প্রায় মাস তিনেক আগে, 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী' ছবির ঘোষণার দিন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে অনিকেত জানিয়েছিলেন, দেব নাকি বলেছেন, "কবীর সুমনকে 'হ্যান্ডেল' করা কঠিন।" পাশে দাঁড়ানো প্রযোজককে জিভ কাটতেও দেখা যায় সেসময়। এরপরেই উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে শুরু করেন।
গোটা ঘটনায় বেজায় চটেছেন কবীর সুমন। শুধু রেগে গিয়েছেন নয়, দীর্ঘদিনের পরিচিত অনিকেতের আচরণে "আঘাত" পেয়েছেন। যার জেরে বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি। সরাসরি ক্ষমা চেয়ে বাকি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন সেখানে।
অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "এখনই ওঁর সঙ্গে দেখা করতে যাব না। আগে ওঁর পারিশ্রমিকটা দিয়ে দিই। আসলে শুটিং শেষ হওয়ার আগে কোনও মিউজিসিয়ানই টাকা পান না, অনেক কাগজ কলমের কাজ থাকে। তাও এই বিষয়টি আমি দেখছি।" পাল্টা ক্ষমা চাওয়ার মেসেজের স্ক্রিন শট দিয়ে সুমনের কাছে খোলা চিঠিতে ক্ষমাও চেয়েছেন অনিকেত। তবে বিষয়টা এতটাই ঘোরালো হয়ে গিয়েছে যে বর্ষীয়ান গায়ক-পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবিতেও কাজ করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তাঁর পোস্টে।
সৃজিতের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, "রাগ করে এসব বলছেন। আমি তাড়াতাড়ি যাব ওঁর সঙ্গে দেখা করতে। আশা করি মিটে যাবে।" এর আগে সৃজিতের 'জাতিস্মর' ছবিতে কাজ করেছেন সুমন। এদিন সুমনের পোস্ট শেয়ার করে অনিকেতকে সব মিটিয়ে নেওয়ার অনুরোধও করেছেন সৃজিত, যদিও এখন আর সঙ্গত কারণেই পোস্ট শেয়ার করা সম্ভব হবে না। দেব এইন্টারটেইমেন্ট ভেঞ্চারের সঙ্গে কবীর সুমন ক্ষোভ মিটিয়ে সবটা ঠিক করে নেবেন কিনা, সেটা জানতে এখন সময়ের অপেক্ষা।