/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/12/mithun.jpg)
মিঠুন চক্রবর্তী।
কাবুলিওয়ালা, এই চরিত্রটি শুনলেই প্রথমে চোখের সামনে ভেসে আসে ছবি বিশ্বাস এর সেই অনবদ্য অভিনয়। কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন তিনি। আর এবার, সেই জায়গায় মিঠুন চক্রবর্তী। পরিচালক সুমন ঘোষ তাঁকে বাধ্য করেছেন এই চরিত্র করতে। রহমত ও মিনির সেই গল্প আজও ভোলার নয়।
তবে, যেই চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাবড় তাবড় অভিনেতারা, সেখানে মিঠুন কীভাবে অভিনয় করবেন? এই ভয় ঘিরে ধরেছিল তাঁকে। কোনও বিশ্বাস যে বড় মাপের অভিনয় করেছিলেন, তার সামনে নিজেকে খুব ছোট মনে হয়েছিল। অভিনেতা এই প্রসঙ্গেই এক সাক্ষাৎকারে বলেন...
"এমন এক চরিত্রে আমি অভিনয় করতে চাইনি যাতে এমন বড় মাপের অভিনেতারা অভিনয় করেছেন। কিন্তু সুমন ( পরিচালক ) এতটাই নাছোড়বান্দা ছিল। তারপর, আমি নিজের মতো করে একটা ডায়লগ বললাম, সেটা শুনে সকলে রাজি হলেন। বললেন এভাবে বললেই হবে।"
আরও পড়ুন - অতীতের তিক্ততা ভুলে ফের নতুন শুরু, তৃতীয়বার বিয়ে করছেন শুভশ্রীর দিদি দেবশ্রী!
আরও পড়ুন - Animal: ‘মেসেজে পাঠাও ওটা, একটু ছুঁয়ে দেখি…’, সন্দীপ রেড্ডিকে গোপনকথা প্রকাশ্যে বললেন রামগোপাল!
উল্লেখ্য, মিঠুন ছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, ও সোহিনী সরকার। মিনির বাবা মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন তারা। এই গল্প ঠিক যতটা মিনি এবং কাবুলিওয়ালার, ঠিক ততটাই এই গল্প সমাজের, রাজনীতির এবং ধর্মের। তবে, বিশেষভাবে এই চরিত্রটি করতে গিয়েই নিজের জীবনের পুরনো মানুষদের কথা বলেছেন তিনি। এক আফগান বন্ধুকে আদ্যোপান্ত নকল করেছিলেন তিনি। বলেন, "ওর সঙ্গে আর যোগাযোগ নেই। কিন্তু কথা বলার ধরন, শরীরী আঙ্গিক আমি সবটাই নকল করেছিলাম। এটা ওর প্রতি আমার শ্রদ্ধা।"
প্রজাপতির পর, তিনি আবারও আসছেন বড়পর্দায়। একদম ভিন্ন ধরনের একটি চরিত্রে। তিনি ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার। শুধু তাই নয়, একটা সময় ড্যান্স কিং নামেও তাঁকে ডাকা হত। কাবুলিওয়ালা করছেন জীবনের এক দারুণ সময়ে। মিঠুন চক্রবর্তী বলিউড টলিউড, দক্ষিণী ছবিতেও কাজ করেছেন। তাই তো, টলিউডে কাজ করার প্রসঙ্গে বলেন, "এখানে ১০-১২ দিনে শুটিং হয়ে যায়। তাই মার্কেট খুব কম। যবে থেকে মাল্টিপ্লেক্স এসেছে, সেদিন থেকে আর, স্টার তৈরি হয় না।"