বছরের প্রথমদিনে প্রয়াত হলেন বলিউডের একদা জনপ্রিয় অভিনেতা কাদের খান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাঁকে কিছুদিন আগে ক্যানাডার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছিল। গত ৩০ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গতকাল তাঁর ক্যানাডা প্রবাসী পুত্র সরফরাজ খান বলেন, তাঁর বাবা বেঁচে রয়েছেন, কিন্তু ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সরফরাজ বলেন, "খবরটা মিথ্যে। রটনা মাত্র। আমার বাবা হাসপাতালে।"
আজ সরফরাজ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, "আজ সকালেই প্রয়াত হয়েছেন উনি। গত কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন। যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি আমরা, কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। খুব ভালো মানুষ ছিলেন, ওঁর জীবনের সঙ্গে জড়িত সকলকেই খুব ভালোবাসতেন।"
একসময়ের অতীব জনপ্রিয় এই চরিত্রাভিনেতা ভুগছিলেন প্রগ্রেসিভ সুপরা নিউক্লিয়ার পলসি রোগে। ব্রেনের এই অসুখের ফলে দেহের স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়, এবং ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হয় না। ক্যানাডায় সরফরাজের কাছেই এতদিন ছিলেন তিনি। নানান উপসর্গের সঙ্গে নিউমোনিয়ার লক্ষণও প্রকাশ পেয়েছিল তাঁর, এবং সজ্ঞানে থাকলেও বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতা।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে জন্মগ্রহণ করেন কাদের খান। বলিউডে কম করেও ৩০০ টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি, এবং সংলাপ লিখেছেন ২৫০ টি ছবির জন্য। রাজেশ খান্না অভিনীত 'দাগ' ছবি দিয়ে ১৯৭৩ সালে বলিউড জীবন শুরু করেন কাদের খান। 'দুলহে রাজা', 'জুদাই', 'আন্টি নাম্বার ওয়ান', 'বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা' এবং 'রাজা বাবু' ইত্যাদি ছবিতে তাঁর অসামান্য কৌতুকাভিনয় মুগ্ধ করেছে অগণিত দর্শককে। অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন 'দো আউর দো পাঁচ' এবং 'মিঃ নটবরলাল'-এর মতো ছবিতে। ২৮ ডিসেম্বর তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে টুইটারে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন অমিতাভ।