মহরৎ আগেই হয়েছিল, এদিন কলকাতায় রিসেপশনের পর্ব চুকিয়েই পরিচালক পাড়ি দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা। কাকাবাবু'র পরবর্তী ইনস্টলমেন্ট তৈরি করতে হবে যে। ২০২০-র পুজোয় ফের বড়পর্দায় আগমন হয়ে সৃজিত-প্রসেনজিৎ জুটির। এদিন সৃজিতের বিয়ের পার্টিতেও 'টলিউডের ইন্ডাস্ট্রি'কে চোখে পড়ল কাকাবাবুর অবয়বে।
এ ছবির বেশিরভাগটাই শুট হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ‘জঙ্গলের মধ্যে এক হোটেল’ গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে এবারের কাকাবাবু সিরিজ। আফ্রিকার কেনিয়ার জঙ্গলে শুটিং হবে এই ছবি। এর আগে এসভিএফের আরও একটা ছবির শুটিং হয়েছিল আফ্রিকায়। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘চাঁদের পাহাড়’ ছবির। আফ্রিকার আবহাওয়ায় শঙ্কর রূপী দেবকে পর্দায় পছন্দ করেছিল দর্শক।
আরও পড়ুন, দিলজিৎ দোসঞ্জ ও ইভাঙ্কা ট্রাম্পের বার্তালাপ, হতবাক নেটিজেনরা
ছবির মহরতে উপস্থিত ছিলে টিম 'কাকাবাবু প্রত্যাবর্তন'। আগে এই ছবি নিয়ে সৃজিত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ”কাকাবাবু প্রত্যেকবারই বক্সঅফিসে ভাল ব্যবসা করেছে। আশা করছি যে এবারেও সাফল্য পাবে। পুজোয় দর্শকদের জন্য এটাই আমার উপহার”।
আরও পড়ুন, গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ! গ্রেফতার স্পিলবার্গ কন্যা মিকেলা
কিন্তু মিশর কিংবা বরফের দেশে কাকাবাবু দর্শকের একাংশকে খুশি করতে পারেননি , সমালোচিত হয়েছিল এই ছবি। তবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ভীষণ উচ্ছ্বসিত কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তনে। তিনি বললেন, ”ভীষণ ভাল লাগছে। ছোটরা কাকাবাবুর জন্য অপেক্ষা করে থাকে। অত্যন্ত আনন্দের মূহুর্ত যে দু’বছর পরে কাকাবাবু ও সন্তু পুজোয় ফিরছে”। 'একেন বাবুর' খ্যাত অর্নিবাণ ভট্টাচার্যও অভিনয় করছেন ছবিতে।
পরিচালনা ছাড়াও ছবির চিত্রনাট্যকারও সৃজিত। ক্যামেরার পিছনের দায়িত্ব সামলাবেন শমীক হালদার, সঙ্গীতপরিচালনায় ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। চোখে চশমা এবং ক্রাচ হাতে, বাকিটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে পুজো পর্যন্ত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন