Kalpana Raghavendar Statement: বুধবার হায়দরাবাদে নিজের বাড়ি থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কল্পনা রাঘবেন্দর। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, মিডিয়া রিপোর্ট মোতাবেক এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কল্পনা। শিল্পী নাকি নিজেই জানিয়েছেন, তিনি ভুলবশত অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলেন। অত্যাধিক মানসিক চাপ, মেয়ের পড়াশোনা সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে গিয়েই অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছেন।
KPHB পুলিশ জানিয়েছে পাঁচ বছর স্বামীর সঙ্গে নিজামপেটে থাকেন। কল্পনা রাঘবেন্দর পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ৩ মার্চ মেয়ের সঙ্গে পড়াশোনা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। কল্পনার ইচ্ছে মেয়ে হায়দরাবাদেই পড়াশোনা করুক। কিন্তু, মায়ের কথা মানতে নারাজ মেয়ে দয়া প্রসাদ। ৪ মার্চ এইসব চিন্তা করতে করতেই অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলেন।
কল্পনার বয়ান অনুযায়ী, 'আমি আটটা ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলাম। তবুও দু'চখের পাতা এক করতে পারছিলাম না। এরপর আমি আরও ১০ টা ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিই। তারপর কী হয়েছে আমার আর কিছুই মনে নেই।' কল্পনা যখন তাঁর স্বামীর ফোন ধরছিলেন না তখন তিনি চিন্তিত হয়ে কলোনি ওয়েলফেয়ারের সদস্যদের জানান। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে অচৈতন্য অবস্থায় কল্পনাকে উদ্ধার করে। নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সংগীতশিল্পীকে। ধীরে ধীরে তাঁর জ্ঞান ফিরলে পুরো বিষয়টা পুলিশকে জানান।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কল্পনার মেয়ে দয়া প্রসাদ মায়ের আত্মহত্যা করার গুঞ্জন নস্যাৎ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'দয়া করে এইরকম ভুয়ো খবর রটাবেন না। আমাদের পরিবার ঠিক আছে। আমার মা-ও কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়ি চলে আসবেন।' মাত্র পাঁচ বছর বয়সে সংগীতের কেরিয়ার শুরু করেন কল্পনা। বিভিন্ন ভাষায় ১৫০০-টির বেশি গান রেকর্ড করেছেন। তেলুগু, মালায়ালি, তেলুগু ভাষায় তাঁর গান শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। সংগীত জগতের বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কাজ করেছেন কল্পনা। এই মুহূর্তে অনুরাগীরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।