যাদবপুর কাণ্ডে আওয়াজ তুলেছেন অনেকেই। অভিনেতা অভিনেত্রীদের অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। অভিযোগের তীর উঠছে দলীয় ছাত্র সংগঠনের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে, পড়ুয়া মৃত্যুতে দলীয় রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে।
Advertisment
গতকাল, প্রতিবাদে নেমেছিল এসএফআই। তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। কিন্তু বাম-মনস্ক তারকারা চুপ কেন? অনীক দত্ত থেকে শ্রীলেখা এমনকি অনেকেই ছাত্র মৃত্যুতে কুলুপ আঁটলেও, এবার কলম ধরলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে প্রতিবাদীদের মিলিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার! এর পেছনে চাল রয়েছে শাসকদলের? কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় লিখছেন…
"বামপন্থী বা 'মার্ক্সবাদী'র মতো সার্বজনীন শব্দগুলো ব্যবহার করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুষ্কৃতী আর প্রতিবাদীদের এক আসনে বসিয়ে দেওয়ার চক্রান্তে নেমেছে দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়া রাজ্য ও কেন্দ্রের শাসকদলের লোকেরা । 'স্বাধীন' ও 'অতিবাম' নামাঙ্কিত বামপন্থার মুখোশধারী এই দুষ্কৃতীরাই নির্বাচনের সময় রাজ্যের ও কেন্দ্রের শাসকদলের ধ্বজা ধরে। তাই এদের বাঁচাতে আবার ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে শীর্ষ ক্ষমতার তল্পিবাহকেরা। সাবধান।"
পড়ুয়া মৃত্যুতে ধৃত নয়। অভিযোগ এমনই, যে ঘটনাস্থলে র্যাগিং এর সময় উপস্থিত ছিলেন এই নয়ের সকলেই। একদিকে যেমন CCTV- নিয়ে অভিযোগ উঠছে। তেমনই, আরেকদিকে অভিযোগ উঠছে ক্যাম্পাসের বুকে নানা অপরাধমূলক কাজ চালান পড়ুয়ারা। নিজেদের দোষ ঢাকতেই তারা CCTV এর বিরুদ্ধে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। সাবধানতার সুরে, নিজের সতর্কবানী এখানেই শেষ করলেন না তিনি। উল্টে আরও বললেন…
"স্বাধীন-নিরপেক্ষ- এইসব ছাত্র সম্প্রদায় আসলে, দক্ষিণপন্থী মুখের বিভিন্ন ছাঁচ। এরা সাচ্চা বামেদের ভয় পাচ্ছে।" দলকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন তিনি? নাকি সবকিছুকেই বদলে দেওয়ার, নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন? র্যাগিং নিয়ে গতকাল সরব হয়েছিলেন রুপাঞ্জনা, যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীদের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এবার, কমলেশ্বর এর কথায় হইচই।