আজ সরস্বতী পুজো। যদিও বা বাঙালির এবার ডবল আনন্দ, কারণ তারা দু দিন ধরে উদযাপন করবে এই বিশেষ দিন। আজ বেলা ১২টার পর থেকে পঞ্চমী শুরু এবং তারপর আগামীকাল পর্যন্ত চলবে এই বিশেষ দিন। সরস্বতী পুজো মানেই এক নিদারুণ আনন্দ।
বাচ্চাদের কাছে এই দিন পড়াশোনা না করার, আনন্দ করার কিংবা বছরের প্রথম কুল খাওয়ার। তারকাদের মধ্যেও সরস্বতী পুজোর আনন্দ কিন্তু দেদার। বাগদেবীর আরাধনায় মেতে ওঠেন সকলেই। ওদিকে কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীর ঘরে, এসেছে ছোট্ট এক মানুষ। তাকে নিয়ে এ বছরে প্রথম সরস্বতী পুজো কেমন কাটাতে চলেছেন তারা? গতকাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফের শ্রীময়ীকে ফোন করা হলেই তিনি বলেন...
"আসলে আমাদের মেয়ে তো খুব ছোট। ওর নিজের সত্যিই এখন বোঝার ক্ষমতা নেই। আর সত্যি কথা বলতে গেলে কাঞ্চন খুব ঘটা করে সরস্বতী পুজো করে না। কারণ সরস্বতী পূজার আগে কিংবা পরে কোনও একটা সময় ওর বোন মারা গিয়েছিলেন। আমাদের বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত পেতলের মূর্তি আছে মা সরস্বতীর। একটু ভোগ দেব। নিজেদের যা বই আছে সেগুলো দেব। সেখানেই ঠাকুর মশাই পূজা করে দেবেন। আর আমার কন্যাকে আজকে ধুতি পাঞ্জাবি পড়াবো। সারা জীবন অনেক শাড়ি পড়তে পারবে, মেয়ে শাড়ি ছাড়া বেরোতে পারবে না, তাই এই বছরটা যদি পাঞ্জাবী পড়বে। "
কৃষভি এখন খুবই ছোট। তার এখন মতামত প্রকাশ করার মত সময় নয়। কিন্তু পরবর্তীতে কি কাঞ্চনের মন পাল্টাতে পারে? মেয়ের দিকে তাকিয়ে কি তিনি পুজো করতে রাজি হবেন? শ্রীময়ীর কথায়, "আমি জানো বিপদ কুসংস্কার এসব মানি না। কিন্তু তাও, যখন কাঞ্চনের জীবন এই ঘটনাটা ঘটেছিল আমি তো ছিলাম না, তাই ওর মনের উপর দিয়ে জোর করেই কাজ করানোর ইচ্ছে প্রকাশ করি না। কিন্তু আমার মেয়ে তো পরবর্তীতে পড়াশোনা করবে সেজন্য আমার মনে হয় সরস্বতী পুজাটা করা দরকার। আসলে আমার মা কোনদিনই মূর্তি নিয়ে পুজো করেন না। শুনেছিলাম আমার ঠাকুমা একবার সরস্বতী পূজা করেছিলেন, এবং আমার এক কাকা নাকি ফেল করে গিয়েছিল.. ( হাসি )। কিন্তু আমার তো পূজো করতে ভালই লাগে, কুমোরটুলি তোকে সব ঠাকুর কিনতে ভালো লাগে। আশা করছি মেয়ের ইচ্ছেয় পরবর্তীতে পুজাটা করতে পারব।
কিন্তু ছোটবেলার সরস্বতী পুজো তার জীবনে কেমন ছিল? আর বাকি পাঁচটা মেয়ের মতোই কি স্কুল কিংবা পাড়ায় বসে আনন্দ করতেন? শ্রীময়ী বললেন, "আমার ছোটবেলার সরস্বতী পুজো আমি বিন্দাস কাটিয়েছি। ছোট থেকে প্রেম করেছি তো। সরস্বতী পুজো মানে আমাদের কাছে ছিল, সকালবেলায় ঠাকুরের কাছে বইটা দিয়ে দিতাম। তারপর, পাড়ায় অঞ্জলি দিয়ে শাড়ি টারি পরে, ময়দানে বসে প্রেম করতাম। কখনো কখনো আবার, এলিয়ট পার্কে ও যেতাম প্রেম করতে। কাঞ্চনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর সেই সব আর হয় না। এই সরস্বতী পূজা মানে ছিল আমাদের কাছে একটা লাইসেন্স এর মত।"