সদ্য 'মণিকর্ণিকা: দ্য ক্যুইন অফ ঝাঁসি'র (Manikarnika: The Queen of Jhansi) সিক্যুয়েল ঘোষণা করেছেন কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। ২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি মুক্তিপ্রাপ্ত যে ছবি বক্সঅফিসে মোটা অঙ্কের টাকা হাঁকিয়েছিল। এককথায়, ঝড় তুলে দিয়েছিল বলিউডের সিনে-ব্যবসায়, এবার সেই ছবিরই সিক্যুয়েল ঘোষণা করলেন বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’। তবে এবার পর্দায় কাশ্মীরের রানি দিদ্দার কাহিনি তুলে ধরবেন কঙ্গনা। প্রযোজক কমল জৈনের সঙ্গে যৌথভাবে ছবিটির প্রযোজক কঙ্গনা খোদ। আর সেই সিক্যুয়েলের কথা ঘোষণা করেই বিপাকে পড়েছেন অভিনেত্রী। কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল কঙ্গনার উপর।
বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইছে না কঙ্গনার। একদিকে একাধিক মামলা-মোকদ্দমা, উপরন্তু বেঁফাস মন্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত কটাক্ষের শিকার হওয়া, সবমিলিয়ে বিতর্কে জর্জরিত কঙ্গনা। এবার তার মাঝেই 'মণিকর্ণিকা' সিক্যুয়েল 'মণিকর্ণিকা রিটার্নস: দ্য লেজেন্ড অফ দিদ্দা'র (Manikarnika Returns: The Legend Of Didda) ঘোষণা করে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বিদ্ধ হলেন তিনি। অভিযোগ তুলেছেন খোদ লেখক আশিষ কাউল, যিনি কিনা 'দিদ্দা: দ্য ওয়ারিয়র ক্যুইন অফ কাশ্মীর' বইটি লিখেছেন।
কাশ্মীর উপত্যকার প্রথম মহিলা সাম্রাজ্ঞী রানি দিদ্দার জীবনকাহিনি অবলম্বনেই কঙ্গনা 'মণিকর্ণিকা' সিক্যুয়েল তৈরি কপতে চলেছেন। এপ্রসঙ্গে আশিষ কাউলের মন্তব্য, "জম্মু-কাশ্মীরের লোহার রাজবংশের রানি দিদ্দার জীবনকাহিনি নিয়ে লেখা বইয়ের উপর আমার এক্সক্লুসিভ কপিরাইট রয়েছে। এবার এটা কি আমায় বিশ্বাস করতে হবে যে, কোনও এক অভিনেত্রী তথা সমাজকর্মী তিনি নিজের ছবির জন্য নিজের মতো করে রানি দিদ্দার জীবনকাহিনি সাজিয়েছেন?" তার কথায়, রানি দিদ্দার জীবনকাহিনি অবলম্বনে ছবি তৈরি হলে তাঁর বই থেকেই যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে, সেই প্রেক্ষিতে কীভাবে তাঁর অনুমতি না নিয়ে অন্য কেউ রানি দিদ্দাকে নিয়ে ছবি তৈরি করতে পারেন?
পাশপাশি কাউল এও বলেন যে, কঙ্গনা হয়তো এখন এটা দাবি করবেন যে, রানি দিদ্দা একটি ঐতিহাসিক চরিত্র, কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নন যে তাঁর সিনেমা তৈরি করতে হলে কারও অনুমতির প্রয়োজন হবে। কিন্তু কাশ্মীরের রানি দিদ্দা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য উপত্যকার ১২ শতাব্দীর লেখক কলহানা এবং তিনি ছাড়া আর কারও কাছে নেই। আর তাই কঙ্গনার এমন কর্মকাণ্ডে বেজায় চটে গিয়েছেন ঐতিহাসিক তথা লেখক আশিষ কাউল।
কাউল প্রশ্ন তুলেছেন, জেনে-শুনে কঙ্গনার মতো একজন ব্যক্তিত্ব এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ কীভাবে করতে পারেন? "কঙ্গনা আমার এক্সক্লুসিভ কপিরাইট লঙ্ঘন করেছেন। যা পুরোপুরি অবৈধ। উনিও তো এই একই দেশের আইনের আওতায়। এই ঘটনাটাকে আমার অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং ঘৃণ্য বলে মনে হয়েছে। তবে আমি এখনও বিশ্বাস করতে চাই যে কঙ্গনা কারও কথায় বিপথে চালিত হয়েছেন", মন্তব্য 'দিদ্দা: দ্য ওয়ারিয়র ক্যুইন অফ কাশ্মীর' বইটির লেখকের।