আদালতে এবার হাজিরা না দিলে গ্রেফতার করা হবে কঙ্গনা রানাউতকে (Kangana Ranaut), জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) দায়ের করা মানহানি মামলায় সম্প্রতি কোর্টের তরফে এমনই হুঁশিয়ারি শুনেছিলেন অভিনেত্রী। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অবধি সময় দেওয়া হয়েছিল কঙ্গনাকে। অতঃপর, আজ শেষমেশ নির্ধারিত সময়েই আন্ধেরি আদালতে পোঁছে গেলেন নায়িকা। হাজির ছিলেন বলিউডের প্রবীণ গীতিকার তথা লেখক জাভেদও। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি তোলেন কঙ্গনা।
বলিউডের 'কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন'-এর দাবি, আন্ধেরি আদালতের উপর বিশ্বাস হারিয়েছেন তিনি। কারণ, কঙ্গনার মনে হয়েছে কোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট। জাভেদ আখতারের পক্ষে কথা বলছে। শুধু তাই নয়, প্রবীণ গীতিকারের বিরুদ্ধে আদালতে জুলুমবাজি করার অভিযোগও তোলেন কঙ্গনা সোমবার। তাই আদালতের কাছে অভিনেত্রীর আর্জি, "জাভেদ আখতারের দায়ের করা মানহানি মামলা বহাল রেখে তা অন্য কোর্টে স্থানান্তরিত করা হোক।"
<আরও পড়ুন: ‘সামান্য আদর্শ থাকলে আর যাই হোক, রাজনীতি নয়’, কাকে খোঁচা দিলেন অনুপম রায়?>
কঙ্গনার আইনজীবী পাশাপাশি কোর্টে এও প্রশ্ন তোলেন যে, জামিনযোগ্য মামলায় বারবার কেন কঙ্গনা রানাউতকে উপস্থিত থাকতে হবে? আদালতে হাজিরা দেওয়ার এহেন কড়াকড়ি আর জাভেদের মামলা বহাল রেখে অভিনেত্রীর আবেদন বাতিল করে দেওয়াতেই সংশ্লিষ্ট কোর্টের ওপর হারিয়েছেন কঙ্গনা। এমনটাই জানান তাঁর আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, জাভেদ-কঙ্গনা দ্বন্দের সূত্রপাত সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সময়ে। বলিউডকে বিঁধতে গিয়ে জাভেদের প্রসঙ্গেও কটুবাক্য প্রয়োগ করেছিলেন কঙ্গনা। আর সেই প্রেক্ষিতেই নিম্ন আদালতে দায়ের করা ফৌজদারি মামলায় আখতার অভিযোগ করেন, "জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তাঁর উদ্দেশে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা রানাউত। জনমানসে আখতারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই এই প্রচার।" এরপরেই চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে আন্ধেরি কোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। মার্চে কঙ্গনার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করার নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। সেই ওয়ারেন্ট ইস্যু হতেই আদালতে এসে জামিনের আবেদন করেন অভিনেত্রী। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে নিম্ন আদালত। তবে অভিনেত্রী বারবার হাজিরা না দেওয়ায় বেজায় চটেছে আদালত। শেষমেশ ২০ সেপ্টেম্বর, সোমবার অর্থাৎ আজ কঙ্গনা হাজিরা দেন কোর্টে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন