সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগে টুইটার কর্তৃপক্ষ আগেভাগেই কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) অ্যাকাউন্টের উপর কড়া নজরদারি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইনের ‘লাগামহীন’ মন্তব্যের জন্য যে হারে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিংসা ছড়াচ্ছে, তা নজর এড়ায়নি টুইটার কর্তৃপক্ষের। দিন কয়েক আগেই ক্রিকেটার রোহিত শর্মাকে 'ধোবি কা কুত্তা' বলে কটাক্ষ করা টুইট সরিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাছাড়াও কঙ্গনার একাধিক টুইট ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই প্রেক্ষিতেই বলিউডের 'স্বঘোষিত ঝাঁসি কি রানি' টুইটার কর্তৃপক্ষকে পালটা হুঁশিয়ারি দিলেন।
কঙ্গনার কথায়, "তোমাদের দিন শেষ টুইটার (Twitter)। এ বার থেকে কুঅ্যাপ ব্যবহার করবে সবাই। আমি আমার অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য সকলকে দিয়ে দেব। দেশীয় অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।" আসলে ‘আত্মনির্ভর ভারতে’র লক্ষ্যে টুইটারের বিকল্প হিসেবে ‘কু’ (Koo App)-র প্রচারে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অ্যাপ চ্যালেঞ্জে আগেই পুরস্কার জিতে নিয়েছিল টুইটারের ক্লোন অ্যাপ ‘কু’। এবার টুইটারকে সেই অ্যাপ ব্যবহারের কথা বলেই তোপ দাগলেন অভিনেত্রী।
কোন প্রেক্ষিতে অভিনেত্রীর এমন মন্তব্য? আসলে বুধবারই ফের একটি বিবৃতি জারি করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। যাতে লেখা, "কয়েকটি টুইটার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা উঠেছিল। বিশেষত যেগুলিতে সাংবাদিক, সমাজকর্মী এবং রাজনীতিকদের নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সেটা করা হয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার থেকে ভারতীয় আইনের আওতায় অ্যাকাউন্টগুলিতে নজরদারি চালাব।"
টুইটার কর্তৃপক্ষের এমন বিবৃতি দেখেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন কঙ্গনা। কোনওরকম রেয়াত না করেই পালটা একটি টুইটে বলেন, "কে তোমাদের দেশের বিচারপতি বানালো? তোমরা একজোট হয়ে মানুষকে অপমান করবে? যেন সংসদের অনির্বাচিত সদস্য। দেশের প্রধানমন্ত্রী সাজার চেষ্টা করছো। কে তোমরা শুনি? এক দল নেশারু! আবার আমাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করো?"