বিরাট জয় দেশের কৃষকদের। শুক্রবার কৃষকদের আন্দোলনের কাছে পরাস্ত মোদী সরকার। দেশজুড়ে প্রবল প্রতিবাদের জেরে শেষমেশ তিন বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চেয়ে নিলেন ক্ষমাও। আর সেই প্রেক্ষিতেই আবারও বিস্ফোরক বলিউডের স্বঘোষিত গেরুয়া সমর্থক অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। দেশের কৃষকদের দিলেন জিহাদি আখ্যা! এখানেই থামেননি অবশ্য। অভিনেত্রী মত, "এঁদের ঠান্ডা করতে হলে স্বৈরাচারতন্ত্রের প্রয়োজন।"
শুক্রবার সকালে গোটা দেশের ঘুম ভাঙল খুশির খবরে। গত এক বছরের আন্দোলন, প্রতিবাদ আজ সব সার্থক। দিল্লির হাড় কাঁপানো শীত, চড়া রোদ, গরম, বৃষ্টি মাথায় খোলা আকাশের নিচেই খেটে খাওয়া মানুষগুলোর আন্দোলনের দিনগুলোর সাক্ষী থেকেছে গোটা বিশ্ব। আওয়াজ তুলেছিলেন আন্তর্জাতিক বিনোদুনিয়ার তারকারাও। শেষমেশ জয়ের মুখ দেখলেন কৃষকরা। গুরু নানকের জন্মদিনে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন বাতিল করার কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। যার জেরে বেজায় দুঃখ পেয়েছেন কঙ্গনা রানাউত।
<আরও পড়ুন: BSF-এর এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন, অপর্ণা সেনের বিরুদ্ধে মামলা>
অভিনেত্রীর মন্তব্য, "ভীষণই দুঃখজনক। লজ্জাজনক এবং মোটেই ভাল হল না এটা। সরকারকে নাম মেনে রাস্তার লোকেরা যদি এবার আইন বানাতে শুরু করে, তাহলে এরা তো জিহাদির সমান। শুভেচ্ছা রইল সেসব লোকেদের যাঁরা এটাকে এভাবেই দেখতে চাইছিলেন।" কঙ্গনার এমন বেঁফাস মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই ফের সরগরম নেটদুনিয়া।
কঙ্গনা আরও যোগ করেন, "যখন দেশের চেতনা ঘুমোয়, তখন লাঠিই একমাত্র পথ ঠান্ডা করার জন্যে। নাহলে এদের থামানোর জন্য প্রয়োজন স্বৈরাচারতন্ত্রের..।" ইন্দিরা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে গিয়ে এভাবেই বিঁধলেন তিনি কৃষকদের।
প্রসঙ্গত, ২০২০-র সেপ্টেম্বরে তিনটি বিল পাশের পর থেকে রাস্তায় নেমে প্রবল বিক্ষোভে সোচ্চার হন লক্ষ-লক্ষ কৃষক। হরিয়ানা, পাঞ্জাব থেকে কৃষকরা এসে ভিড় জমান রাজধানী দিল্লির সীমানায়। মাসের পর মাস ধরে দিল্লির সীমানা ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার-সহ একাধিক রাজ্য থেকে কৃষকরা গিয়ে জড়ো হন। কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী একাধিক দলের নেতারাও বিক্ষোভে পাশে ছিলেন শুরু থেকেই। অবশেষে শুক্রবার জয়ের হাসি হাসলেন কৃষকরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন